somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যানজটে আমাদের করণীয় নেই: কারণ আমরা সাধারণ জনগণ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিভিন্ন তথ্যমিতির তথ্য অনুযায়ী ঢাকা সিটিতে জনসংখ্যা ২ কোটির উপরে। আয়তন ৩১০-৩২০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩৮,০০০/বর্গকিমি। যদি তথ্যগুলো সঠিক হিসেবে মনে করা হয়। তবে সহজে বুঝা যায়-যানজট দূর করতে এই শহরের কি পরিমাণ রাস্তা, কি পরিমাণ গাড়ি, কি পরিমাণ গণ পরিবহন, কি পরিমাণ অফিস আদালত, কি পরিমাণ শিক্ষা, কি পরিমাণ স্বাস্থ্য সেবার হাসপাতাল, কি পরিমাণ শিল্প-কারখানা, কি পরিমাণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কি পরিমাণ খেলার মাঠ ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন।

রাজশাহী শহর হওয়া সবাই এখানে থাকতে চায়। কারণ চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা, যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে অন্য জেলার তুলনায় এগিয়ে থাকা যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ এই দুই জেলার গুরুত্বও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দুই জেলায় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় সেখানে মানুষে রুটি-রিজিকের ব্যবস্থা হচ্ছে মানুষ যেখানেও ছুটে যাচ্ছেন। এক কথায় বলতে গেলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে মানুষ সেদিকে ছুটছে।

আবার ঢাকায় ফিরে আসি। যানজট কমাতে জনপ্রিয় হয়েছে উত্তরা টু মতিঝিল মেট্রোরেল। বাস্তবতার নিরিখে বলা যায় বলা যায় মিরপুর, শেওড়াপাড়া, উত্তরা দিয়া বাড়ি, আগারগাঁও, ফার্মগেট, তেজগাঁও এলাকার মানুষ শুধুমাত্র মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলো যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু তারা যদি ঢাকার অন্য জায়গাগুলো-পুরান ঢাকা, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, গুলিস্তান, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি মিরপুর-১ ইত্যাদি স্থানে যেতে চান তবে তাদের ঠিকই পূর্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

বড় বড় প্রকল্পের মধ্যে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাই ওভার ব্রিজ নির্মাণ যানজট নিরসনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায় বরং যানজট আরো বেড়েছে। আমাদের বড় বড় প্রকল্প কেন দ্রুতই অকার্যকর বা যে কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের চিত্র তৈরি হওয়ার কথা তার উল্টো চিত্র দেখা যায়। একটা প্রকল্প তৈরি জন্য যে সমীক্ষা তৈরি করা হয় সেখানে প্রকল্পের নমুনাচিত্রে দেখা যায় দেশের সুনাম ধন্য প্রকৌশলীদের নকশা, বাস্তবতা, প্রভাব, ক্ষতির দিক ইত্যাদি বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করে প্রকল্পের প্রোপোজাল তৈরি এবং প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে একনেকের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রকল্পের অনুমোদন হলেই চূড়ান্তভাবে প্রকল্প পরিচালকের মাধ্যমে কার্যক্রম চালু হয়। শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা খরচ করে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হয়, সুফল বর্ণনা করে দলীয় সরকার বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা করেন। পরবর্তীতে দেখা যায় বড় বড় প্রকল্প মানেই বড় বড় টাকা বাড়ানোর হাতিয়ার, টাকা পাচারের মেশিন।

যদি এমন একটা প্রকল্প তৈরি হয় তখন এর সাথে অনুমোদন, সংশোধন, নকশা, প্রস্তাবনায় তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী, ১ম-১৬ গ্রেডের সরকারি কর্মচারি ১০ জনের বেশি হবে না, পরামর্শক ৪ জন সর্বপরি ২০-২৫ জনের বেশি হবে না। এদের মধ্যে থেকে গ্রেড ভেদে সবাই তাদের পকেট ভারী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কাঙ্খিত পকেট ভারী, টাকা পাচার করতে না পারলে অস্ত্র হিসেবে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি নামক এক দফা, দুই দফা তিন দফা প্রয়োগ করেন।

একনেকে প্রকল্পের অনুমোদনে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনার মন্ত্রনালয়, যে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে সেই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা খুবই আনন্দিত হন। কারণ তারা টাকা তৈরির একটা মেশিন অনুমোদন করিয়েছেন। ফলাফল হিসেবে আমরা দেখি হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে করে তৈরি করা হচ্ছে মহান কৃত্তি।

এদের মাঝে যদি সৎ, নৈতিক, দক্ষ যোগ্য, নির্মোহ মানুষ পাওয়া যেত তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় তুলনামূলক হাজার হাজার গুণ বেশি খরচে এদেশে প্রকল্প তৈরি হতো না। টাকা পাচার হতো না ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমরা যানজটে ছিলাম-সরকারের ৫ম গ্রেড থেকে শুরু করে ১ম গ্রেডের যারা আছেন তারা প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি ক্রয়ের জন্য সরকারের কোষাগার তথা জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্স হতে টাকা পান বিনা সুদে। এই সেই টাকা যেন পরিশোধ করা যায় সেই গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিমাসে ভাতা পান। মানে জবগণের টাকায় তাদের একটা গাড়ি হয়ে গেল। এভাবেই তারা একটি গাড়ির মালিক হয়ে গেলে এরই সাথে ঢাকায় যানজট বাড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে তারা অন্যতম হয়ে উঠলেন। কারণ তিনি ও তার ড্রাইভার মিলে ২ জন যে জায়গায় নিয়ে রাস্তায় চলাচল করেন তাদের মতো ৬ জনের জন্য ৩ টা গাড়ির জায়গা দখলে নিলেন। সেই একই জায়গায় একটা বাস যদি থাকতো সেই জায়গায় প্রায ৬০ জন মানুষ যাতায়াতের সুবিধা পেতেন। পরোক্ষভাবে তারা কিন্তু ৬০ জন মানুষের অসুবিধা তৈরি করলেন। এখানে শুধুমাত্র একটা পার্থক্যের কথা আমরা সাধারণ জনগণ বুঝতে পারি।

তারাই যখন যানজট সমাধানের জন্য সভা করেন তখন। তাদের চিত্রটা তুলে ধরা চেষ্টা করছি- তিনি এসি বাড়িতে থাকে, এসি গাড়িতে চড়ে যাতায়াত করেন, এসি অফিসে বসে অফিস করেন। তিনি তো বুঝতে পারবেন না ঘামে ভেজা মানুষ, বৃষ্টিতে ভেজা মানুষ কিভাবে যাতায়াত করেন।
সেখানে তাদের কোনো অনুভূতি কাজ করে না। যানজট সমস্যার সমাধানের জন্য উপস্থিতি সভায় যোগদানের আগে যদি তিনি নিয়মিত ২ সপ্তাহ সাধারণ মানুষের মতো যাতায়াত করতেন তবে তার মধ্যে একটা তাগিদ অনুভব করতেন। সেক্ষেত্রে বাস্তব সম্মত একটা সমাধানে তারা পৌছাতে পারতেন। এই রকম অনেক সুবিধা ভোগীর জন্য তারা তাদের কাজ করতে পারেন। একটা সময় তারা বলেন ঊর্ধ্বতনের নির্দেশে তারা কাজ করতে পারছেন।
আমরা সাধারণ জনগণ যাদের ঘামে ভেজা, বৃষ্টিতে ভেজা, রোদের তাপে পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ঢাকার যানজটে বসবাস করি, যাতায়াত করি। আমাদের মনে হয়- সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
[এক। ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর দুর্নীতি বন্ধ করা।
রাস্তা তৈরি ও মেরামত, যেসকল রাস্তা তৈরি করা হয় তা অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জামানতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই রাস্তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কিংবা জামানতের টাকা উত্তোলন এবং বিল বকেয়া উত্তোলনের পর থেকেই রাস্তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত, ভাঙ্গা মেরামতের প্রয়োজন হয়। যখন ঠিকাদাররা কাজ শেষে চলে যান বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন তারা আর তার দায়িত্ব নিতে চান এটাই বাস্তবতা। বড় বড় গর্ত তৈরি জন্য একজন মানুষ খুব বেশি দায়ী তিনি হলে প্রকৌশলী। তিনি সঠিকভাবে রাস্তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন না। এর কারণ তিনি সৎ নন, তিনি ঠিকাদারের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পাচার করে দিয়েছেন। রাস্তায় ভাঙ্গা, গর্ত থাকলে এর ঝাকুনিতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন, কারো কারো কোমড়ে ব্যথা তৈরি, দুর্ঘটনা ঘটের সম্ভাবনা তৈরি হয়, মানুষের মুত্যৃ ঝুঁকি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে রাস্তার টিকসই মানদন্ড/মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন ঠিকাদার ও প্রকৌশলী দায়ী এবং শাস্তি দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

দুই। বাস টার্মিনাল স্থানান্তর
ঢাকা সিটির ভেতর কোনো বাস টার্মিনাল রাখা যাবে না। এর জন্য অনেক বাধা আসবে কারণ এখানে দলীয় চাঁদাবাজির একটা ব্যাপার আছে। স্থায়ী চাঁদবাজির একটা ব্যাপার আছে। গাবতলী বাস টার্মিনাল টা আমিন বাজারে, মহাখালী বাস টার্মিনাল টঙ্গীতে, যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল কেরাণীগঞ্জ, গুলিস্তানের বাস টার্মিনাল নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড কমলাপুর বাস টার্মিনাল কদমতলী এলাকায় করা যেতে পারে। এছাড়া অনির্ধারিত বাস টার্মিনাল যেমন মালিবাগ রেল গেইটে সোহাগ, হানিফ, রাজারবাড় পুলিশ লাইনের কাছে গ্রীন লাইন গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় যে বাস স্ট্যান্ডগুলো আছে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

তিন।জেলার বাস ঢাকায় প্রবেশ করতে পারে না
ঢাকা ছাড় অন্য যে কোনো জেলার বাস ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিভাগের কিছু জেলারসহ খুলনা, বরিশাল বিভাগরে বাসগুলো কেরাণীগঞ্জের বাস টার্মিনালের থাকবে। রাজশাহী ও রংপর বিভাগের বাসগুলো আমিনবাজারে থাকবে। চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের বাসগুলো থাকবে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে এবং ঢাকা বিভাগের কিছু জেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বাসগুলো থাকবে টঙ্গীতে।

চার। ঢাকা সিটির বাস কোনো জেলায় যাবে না।
যেমন নারায়ণগঞ্জের বাস বন্ধন ও উৎসব বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ পর্যন্ত আসে। তাদের সীমা থাকবে ঐ সাইনবোর্ড পর্যন্ত, আবার মেঘলা বাস যায় মোহাম্দপুর পর্যন্ত তাদেরকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। মনজিল যায় টঙ্গী পর্যন্ত, ঠিকানা, মৌমিতা যায় আশুলিয়া, নবীনগর। তাদের থামাতে হবে। তাদেরকে শুধুমাত্র ঢাকার মধ্যে চলাচল করা জন্য বলা যেতে পারে। যেমন-বিহঙ্গ সদরঘাট টু মিরপুর, শিকর, মালঞ্চ, মিডওয়ে, রমজান ইত্যাদি পরিবহন।

পাঁচ।[/sb] ঢাকা বাইরে যেতে চাইলে একবার বাস বদল
আমরা যদি দুইবার বাস করে ঢাকার বাইরে যেতে চাই আপতত দৃষ্টিতেত তখনই কেবল সম্ভব ঢাকার যানজট কমানো যাবে। আপনি যদি মিরপুর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো জেলায় যেতে চান তবে। ঢাকা মেট্রোর পাবলিক গাড়িতে করে সাইনবোর্ড আসতে হবে তারপর ২য়বার বাসে করে সোজা নির্দিষ্ট গন্তব্য। আর ব্যক্তিগত গাড়ির আলোচনায় এখানে আনা গেল না। কারণ তিনি তো সরাসরি চলে যাবেন। তেমনিভোবে আপনি যদি যাত্রাবাড়ী থাকেন তবে আপনাকে প্রতমে টঙ্গী যেতে হবে তারপর আপনি, ঢাকার কিছু জেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের যেকোনো জেলায় যেতে পারবেন।

ছয় ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহণে উৎসাহী করা
বাস্তব উদাহারণ এখন মেট্রোরেল। ঢাকা সিটিতে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন গণ পরিবহন রয়েছে। এদের পিছনে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও দলীয় প্রভাবের আওতায় একটা সিস্টেম। যার কারণে সকল পরিবহন মালিক একই ছাতার নিচে থেকে সাধারণ জনগণকে সুন্দর একটি যানজটমুক্ত রাজধানী উপহার দিতে পারছে না। কারণ
আমাদের মত সাধারণ মানুষ তো এক সাথে ২০০ বাস কেনা সম্ভব না। এই ধরণ না একটা সিস্টেম যদি তৈরি করা যায় প্রতি ৩ মিনিট পর পর সাইনবোর্ড থেকে আমিন বাজার বাস চলাচল করবে। এমনি ভাবে কেরাণীগঞ্জ হতে প্রতি ৩ মিনিট পর বাস চলাচল করবে ট্ঙ্গীতে, কদমতলী থেকে বাস চলাচল করবে।
সাত ফুটপাত দখল করে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে
ফুটপাতে যারা ব্যবসা করেন তাদের পরিবারে কথা চিন্তা করে বৃহৎ পরিসরে ট্রেড সেন্টারের মতো স্থাপনা তৈরি করে তাদের পুর্নবাসন করার মাধ্যমে ফুটপাত দখল মুক্ত হবে। ফুটপাত দখল থাকার কারণ সাধারণ মানুষ ফুটপাত দিয়ে যেতে পারেন না। রাস্তার উপর দিয়েই চলাচল করেন। আর এতে বাস, গাড়ি চলাচলের জায়গা থাকে না। এক কথায় ফুটপাত দখল করে যে দলীয় প্রভাবে চাঁদাবাজি তা বন্ধ করা প্রয়োজন। এর বাস্তব চিত্র সরকার প্রধান বা মন্ত্রণালয়ের যারা প্রধান আছেন তারা দেখতে পারেন না। কারণ তারা যখন পরিদর্শনে যান তখন এগুলো উঠিয়ে দেওয়া হয়। তাদের নিজের মনে খটকা লাগে আমি তো নিজের চোখে দেখে আসলাম যে, সেখানে কিছু নেই। তাহলে যারা বলছেন মিথ্যা বলছেন। তাই তাদের দায়িত্ব হবে ঘোষণা না দিয়ে প্রকৃত ঘটনা বা বাস্তব চিত্র দেখা আপনার দায়িত্ব। যদি না দেখতে পারেন তবে আপনি ১ম গ্রেডের কর্মচারি হয়ে ব্যর্থ। কারণ ১ম গ্রেডের কর্মচারি হিসেবে আপনরা সাধারণে জনগণের টাকা শ্রাদ্ধ করার আনন্দের বিভোর হয়ে থাকেন।
আট ব্যবসায়িক সততার মাধ্যমে নিজের এলাকার ব্র্যান্ডিং করা
আপনার মূল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধরেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। সবকিছু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীক তারপর আপনার কর্পোরেট অফিস হিসেবে ঢাকায় একটি অফিস থাকতেই হবে। কেন থাকতে হবে। আপনার কি ব্যবসায়িক সততা নেই। সকল প্রতিষ্ঠান ঢাকা না হলেও কর্পোরেট ঢাকায় রাখতে হবে। ঢাকা থেকে বিকেন্দ্রীকরণ করা যাচ্ছে না কোনোভাবে। তাই যোগাযোগ সচল রাখতে এখানে বিশাস জনসংখ্যার সমাবেশ হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নিজস্ব এলাকাকে প্রমোট করা প্রয়োজন। যেমন চট্টগ্রাম ছাড়া আমাদে আর কোন শাখা নেই।
নয় যে বৈশিষ্ট্য আমাদের নয়
আমাদের মাঝে সততা ও নৈতিকতা আজ অনুপস্থিত। তাই সেখানে যাবেন সেখানে বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখতে পাবেন। আটটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের কোনো প্রয়োজন ছিল না। যদি আমাদের মাঝে শুধুমাত্র সততা ও নৈতিকতাবোধ থাকতো। এই একটা বোধ জাগ্রত, সচল ও বাস্তবায়ন করতে পারলে সকল স্তরে শৃঙ্খলা ফিরিযে আনা শুধুমাত্র সম্ভবই না তার সুফল যুগের পর যুগ অনাগত বংশপরম্পরা পেতে থাকবে।




সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:২২
৬৪ বার পঠিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রিয় কন্যা আমার- ৭১

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩১

প্রিয় কন্যা ফারাজা, গতকাল রাতে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
স্বপ্নটা এই রকম: ঢাকা শহরের রাস্তা গুলো সব নদী হয়ে গেছে। নদীতে সমুদ্রের মতো বড় বড় ঢেউ। ভয় পাচ্ছি যদি নৌকা উলটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সঠিক ইতিহাসে জানতে হলে মেজর ডালিমকেও আমলে নিতে হবে

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯

সঠিক ইতিহাস জানতে হলে যেমন আপনাকে মেজর ডালিমের বক্তব্যকে আমলে নিতে হবে তেমনি ‌শেখ মুজিবের বক্তব্যও নিতে হবে।

আপনি একজনের ১৭ বছর একই ওয়াজ করা বক্তব্যকে বাইবেল আর মেজর ডালিমের বক্তব্যকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার ঘোষক কে?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৭

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে "আসসালামুয়ালাইকুম" বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানানোর ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি তখন পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার, ভাষা, ও স্বাধীনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেলিম অনোয়ারের ব্যান নিয়ে আপনি কিছু বলছেন না কেন?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



এই ব্লগে কাকে ব্যান, সেমিব্যান, কমেন্ট ব্যান করলে আপনি খুশী হয়ে থাকেন? চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে নিশ্চয়ই; এটা ভালো! চাঁদগাজী/সোনাগাজী "ব্যক্তি আক্রমণ" করে থাকে। সেলিম আনোয়ার কি আক্রমণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ষড়যন্ত্র করে অন্য দেশের সাহায্য নেয়া আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৭

বহুদিন পর্যন্ত এই দেশের লোক জানতো যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যা ছিল। জনগণের ধারণা ছিল শেখ সাহেবকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের শাসকরা এই মামলা সাজিয়ে ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×