অডিটররা যদি সঠিকভাবে সবকিছু অডিট করতেন তবে হাজার হাজার টাকা পাচার হতো না। সরকারি ব্যয় নিরীক্ষার দায়িত্বে যারা আছেন তারাও আন্দোলন করছেন।
তারা দেখেন গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১ এর পার্থক্য ৭৮০০০-১২৫০০=৬৫,৫০০ টাকা তার নিজ বেতনের প্রায় ৫ গুণের বেশি। এখানে কতটা বৈষম্য। আর গ্রেড-২০ থেকে গ্রেড-১ শুধুমাত্র মূল বেতনের পার্থক্য ৬৯২৫০ টাকা ১১ থেকে ২০ এর পার্থক্য ৪২৫০ টাকা। এতো বৈষম্য তারা আর সঠিকভাবে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। শুধুমাত্র বৈষম্য আর বৈষম্য। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে এই যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়ার পরও শুধু পিএসসি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরীক্ষা গ্রহণ এবং পদবি পরিবর্তনের কারণে যে বৈষম্য তারা চিহ্নিত করেছেন তা কি আসলেই যৌক্তিক। খবরে প্রকাশ “কাকরাইলের অডিট ভবনের সামনের সড়কটি রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরোধ করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের মহা হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন দেড় শ থেকে দুই শ অডিটর। তাঁদের দাবি, ১১তম গ্রেড থেকে তাঁদের পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। এই দাবিতে সড়ক অবরোধের কারণে কাকরাইলের আশপাশসহ রাজধানীর বড় অংশজুড়ে যানজট তৈরি হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদলকে আলোচনার জন্য ডাকলেও তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।”
পুলিশ কর্মকর্তাকয়েকজন কনস্টেবল ও এসআইকে জিজ্ঞেস করেন, ‘সাউন্ড গ্রেনেড মারতে পারো না তুমি?’ তখন তাঁদের কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পারি না, স্যার।’ এপিবিএনের দলটির কাছে গিয়ে ডিসি সারোয়ার বলেন, ‘তোমরা কি আমার কথা শুনবা না?’ এ সময় এক এপিবিএনের একজন সদস্যকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা যেতে পারব না, স্যার।’ অনেকেই আবার নিজেদের মধ্যেও আলাপ করছিলেন, যেন কেউ সামনে না যায়। দুই এসআইকে কনস্টেবলদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘যা বলে বলুক, চুপ করে থাকো।’
এই খবরের পর্যালোচনায় আপাতত দৃষ্টিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে বেশি করে প্রকাশ করছে। যদিও এই বাহিনীটির সংস্কার প্রয়োজন।
তাই পরতে পরতে আন্দোলন তৈরি হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। এক দলের পতনের পর এইভাবে দলীয়করণে প্রভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পতন দৃশ্যমান হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণ পাবে না বাংলাদেশ। নাকি আমার সেই পুরানো প্রথা। পুরানো গান ও গল্প। কোনো কিছুই হলে অমুকের দায়।
আমরা বৈষম্যের মধ্যে ছিলাম। যারা আজ গ্রেড-১ আছেন, বা গ্রেড-২ তে আছেন আপনাদের তো ছাড় দিতে পারেন। আপনারা বেতন বৈষম্য তৈরি করে যে প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন তাতে নতুন সংস্কারের পথ দেখা যাচ্ছে না। যদি আপনারা ছাড় দিতে পারে তবে একজনের জায়গায় দুইজন এমনকি তিনজন মিলে কাজ সামাল দিতে পারবেন। তাতে নতুন কিছুলোক বেকারের খাতার নামের তালিকা হতে নাম কর্তন করে চাকরিজীবী তথা চাকরের নাম বসাতে পারবেন। এতে আপনাদের সুবিধার একটু কমতি হলেও অন্য আরো অনেকেই উপকার ভোগী হবে।
এখন আমরা মুক্ত ভেবে স্বাধীন ভেবে কথাগুলো বলতে পারছি। এতে আমাদের আনন্দ। একটা সময় ছিল এগুলো বলতে পারতাম না। বাঙ্গালী জাতির মধ্যে একটা ত্বরা কাজ করে ফল তাড়িতাড়ি পাওয়ার আগ্রহটাই বেশি। সাধারণ জনগণকে আপনারা আর হতাশাগ্রস্ত করবেন না।
আমরা বর্তমান যে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রশাসন নিযুক্ত হয়েছে তাদের সময় দিতে পাই না। আমাদের ভেতর বিবেক জেগে উঠে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে। আমাদের সঠিক বলিষ্ঠ নেতৃত্ব নেই তা বলবো না। আছে সবই আছে তারপর পতিত দলের পাশাপাশি অনেক ষড়যন্ত্রও আছে।
আপনারা অডিটরা যে আন্দোলন করছেন তার জন্য আগামী দিনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ভাতাদি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে। বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা যারা সাধারণ জনগণ শুধু এটুকু প্রশ্ন আপনারা কেন অডিট করে কোটি কোটি পাচার রোধ করতে পারলেন না। নাকি সেই আগের মতো এইটা আমাদের দায়িত্ব এটা করে অমুক সংস্থা। সাধারণ জনগণ তাদের প্রশ্ন করুক।
যেমন ধরেন রাস্তা একটাই সবার পকেট ভরতে হবে। তাই বিদ্যুতের জন্য একবার রাস্তা খনন ও মেরামত, সেই একইভাবে গ্যাস লাইন মেরামত, ওয়াসার পানির লাইন মেরামত, ইন্টারনেট ক্যাবল লাইন মেরামত সিটি কর্পোরেশন পয় নিষ্কাশন লাইন এভাবে একই রাস্তা ৫ বার বা তার চেয়ে বেশি হাত বদল করে জনগণের টাকাগুলো আমরা বলবো পাচার হয়ে গেল। সমন্বিতভাবে একটা ব্লু প্রিন্ট বানান যেখানে সবাই একসাথে একটি ছাতার বলয়ে থেকে জন সাধারণের কথা ভেবে কাজ করবেন। রাস্তা একবার খনন করবেন। সরকারি চাকরিজীবীরা কখনই নিজেদের আর জনগণের সেবক মনে করেন না। মনে করেন মনিব। তারাই সব। প্রতিটার সাথে প্রতিটার এক একটা সংযোগ। মনে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের লুটেরারা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে মাতৃভূমির সম্পদ। একটা জাতি সামগ্রিকভাবে আজ অসদ প্রবণ।
অডিটর সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে কি সমাধান সম্ভব না। আপনারে যে অবস্থা আপনাদের সহকর্মীদের পেনশনের সময় হয়রানি করেন এমন অনেক গল্প কিন্তু অনেকের জানা। আপনারা আপনাদের সমস্যার সমাধান করেন। নিজেদের পরিশুদ্ধ করেন।