প্রথমেই সামহয়্যার ইন কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের আঙ্গিকে ব্লগের ব্যানার সাজানোতে। তবে ব্যানারের কিছু বিষয় হয়তো ব্লগ কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেছে।
যেমনঃ
১) ব্যানারে থাকলেও সাকিব, তামিম, মাশরাফি এই টেস্টে বাংলাদেশ দলে নেই। সাকিব আবারও ব্যক্তিগত ছুটিতে, তামিম ইনজুরিতে, এবং মাশরাফি তো আনঅফিশিয়ালি ক্রিকেটেরই বাইরে। তবে এই টেস্টে শরিফুল, মিরাজ, তাসকিন, শান্ত, জয়, লিটন, মুমিনুল, এবাদত এর মতো তরুনেরা খুব ভালো খেলেছে। তাদের ছবি দেয়াই যুক্তিযুক্ত হতো।
২) বাংলাদেশ এর জার্সিতে যে স্পন্সরের লোগো দেখা যাচ্ছে, তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বিতর্কিত স্পন্সর ছিলো।
ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানের জার্সি কুচকে যাওয়ায় লোগো দেখা যায় না, আইসিসির ব্রান্ডিংয়ের ইভেন্টে তাদের লোগো রাখতে চাপ দেয়া, প্রবাসীদের দেয়া সংবর্ধনাতে তাদের লোগো না থাকা, বিজ্ঞাপনে খেলোয়ারদের উপস্থিতির জন্য চাপ দেয়া সহ নানা ছোটখাটো বিষয়ে এই সাহারা গ্রুপ বিসিবির সাথে ঝামেলা করে টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো। তার উপর প্রতিষ্ঠানটি ভারতে বিনিয়োগকারীদের ২০ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করে। এসব কারনে সাহারার সাথে স্পন্সরশীপের ৪ বছরের চুক্তি বিসিবি বাধ্য হয়ে ১৫ মাস আগেই বাতিল করে দেয়। এতকিছুর পর সাহারা যুক্ত ছবি দেয়া সঠিক হয়নি, চাইলেই এড়ানো যেত। কারন এই ছবিগুলো ৮-১০ বছর পুরনো ছবি।
যদি ব্লগ কর্তৃপক্ষ একটু শুধরে নিতেন, ব্যাপারটা দেখতে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জয় এবং গত ১১ বছরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোন এশিয়ান টিমের প্রথম টেস্ট জয়। নতুন খেলোয়ার সম্বলিত দল নিয়েই জয়। বিগত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তলানীতে থাকা বাংলাদেশের জয় অনেক ভাবেই আখ্যা দেয়া যায়। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন।
আপডেটঃ আমি যদি ব্যানার ডিজাইন করতাম, তবে সেটি কেমন হতো, তার একটা নমুনা নিচে দিচ্ছি।
ব্যাকগ্রাউন্ডে মাউন্ট ম্যাঙ্গানুই এর বে ওভাল স্টেডিয়াম। যেই মাঠে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ জিতেছে।
ফোরগ্রাউন্ডে তাসকিন, মুশফিক, লিটন, এবাদত, শরিফুল, জয় এবং মুমিনুল এর ছবি, যারা এই ম্যাচ জয়ে অবদান রেখেছে।
তবে এইখানেই যতো ঝামেলা, এই ম্যাচটা আরেক দিক দিয়ে অনন্য, কারন সবাই ভালো খেলেছে। কারও একার কৃতিত্বে জয় আসেনি। সবার অবদান ছিলো ম্যাচে। তাই ছবিতে রাখার ক্ষেত্রে শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা!
আরেকটা কথা, খালেদ মাহমুদ সুজন এই জয়ের ক্রেডিট দাবি করতে পারেন। তাকে গতিদানব বা গদাখামাসু বলে যতই ট্রল করেন না কেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে কেউ যদি দায়িত্ব পালনে সফল হন, তবে সেটা সুজন। সুজন বিতর্কিত হয়েছেন দায়িত্বের বাইরের ভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু যুব বিশ্বকাপ জয় হোক, টিম ম্যানেজার হিসেবে হোক বা ট্যালেন্ট হান্ট সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। খান সাহেব বা নান্নু সাহেব যদি এভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে দেশের ক্রিকেটে আরো অনেক উন্নতি হতো।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৮