বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, শ্রেনীকক্ষে সাধারণত প্রথম ১০ মিনিট অংশগ্রহণকারীদের মনযোগ ঠিকমতো থাকে, তারপর পাঠদানকারীকে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বণ করতে হয় অংশগ্রহণকারীদের মনযোগ ধরে রাখার জন্য।
যাই হোক, এটা শিক্ষকের কাজের অংশ। কিন্তু অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বা প্রশিক্ষণার্থীর ঘুমিয়ে পড়া একটা কমন সমস্যা। আসুন আলাপ করি কিভাবে শ্রেণীকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে শ্রেনীকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভবঃ
১) আগের রাত্রে ভালো এবং পরিমিত ঘুম।
২) সকালে প্রোটিন জাতীয় নাস্তা করা।
৩) ক্লাসের আগে গোসল করা।
৪) ক্লাসে সম্ভব হলে প্রথম দিকে বা মাঝামাঝি অবস্থানে বসা।
৫) একটা পানির বোতল সাথে রাখা এবং কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করা।
৬) সম্ভব হলে এক কাপ কফি সাথে করে ক্লাসে যাওয়া। কফি ঘুম তাড়াবে।
৭) ক্লাসে শুধু লেকচার না শুনে খাতায় নোট নেয়া।
৮) খাতার মার্জিনের পাশে ছবি আঁকা, যদিও এটা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য নয়।
৯) চেয়ার টেনে জায়গা পরিবর্তন করা।
১০) জানালার পাশে বসা এবং জানালা খুলে দেওয়া। ফ্রেশ বাতাস শরীরে অক্সিজেনের অভাব দূর করবে।
১১) মেরুদন্ড সোজা করে বসা।
১২) মাথা একপাশ থেকে অন্য পাশে নাড়ানো। কোমর থেকে ঘাড় পর্যন্ত মোচড়ানো।
১৩) সামনের ডেস্কে লাথি মারা, ধাক্কা দেয়া (অন্যকে বিরক্ত না করে)।
১৪) দু্ই আঙ্গুলের মাথায় কলম নিয়ে ঘুরানো।
১৫) সম্ভব হলে একটা ছোট ফ্যান সাথে করে ক্লাসে নিয়ে যাওয়া এবং তার বাতাস খাওয়া।
১৬) চোখে মুখে পানি ছিটানো।
১৭) সম্ভব হলে একটা আপেল সাথে করে ক্লাসে নিয়ে যাওয়া, আপেলের প্রাকৃতিক চিনি এবং এর খাওয়ার শব্দ তোমার ম্যাড়ম্যাড়ে ভাবটা দূর করে দিবে।
১৮) চুইংগাম চিবানো বা চকলেট খাওয়া। এটা দুর্বলতা দূর করবে এবং রক্ত চলাচল ঠিক রাখবে।
১৯) কানের লতিতে চাপ দেয়া বা আলতো করে চিমটি কাটা
২০) গ্রীন টি খাওয়া।
২১) বিভিন্ন রং এর কলম দিয়ে নোট নেয়া।