৪) অত্যন্ত হাস্যকর ভাবে ভিকারুন্নেসার ক্লাস টিচারকেও থানায়/জেল হাজতে নেয়া হয়েছে। ক্লাস টিচারের দোষ কি ছিল? দোষ কি এটাই ছিল যে, স্কুলের নিয়ম কানুনে যেটা লেখা আছে সেটা সে পরিপালন করেছে?
প্রধান শিক্ষকের দোষ কি ছিল? দোষ এটা ছিল যে সেও লিখিত নিয়ম কানুনের বিষয়ে সতর্ক ছিল?
বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের কি শিক্ষা দেয়? প্রাতিষ্ঠানিক ভালো বা পঁচা নিয়ম যেটাই হোক না কেন, সেই নিয়ম পালন করার প্রতিজ্ঞা করে চাকরিতে ঢুকে নিয়ম অনুসরণ করলে জেলেও যেতে হতে পারে, দোষীও হতে পারে?
তারা কি বিদ্যালয়ের লিখিত নিয়মের বাইরে কিছু করেছিল? আমি তো এমন কিছু দেখলাম না। অনলাইনে ভিকারুন্নিসার নিয়মের মধ্যে লেখা ছিল মোবাইল বা অন্যান্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে গেলে তাকে টিসি দেয়া হবে, তাহলে শিক্ষকরা তো সেই নিয়মই অনুসরন করেছে। তাহলে তাদেরকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? কে গ্রেফতার করাইছে? কোন আইনে?
আত্মহননে উৎসাহিত করণের কারণ দেখিয়ে?
হাস্যকর।
কোন স্টাডী বা তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে আসলে আত্মহননের পিছনের কারণটা কি ছিল?
মূলত সমস্যা হচ্ছে লিখিত নিয়মে। তো নিয়মকে হাজতে নেয়া হয় নি কেন? নিয়মকে ঘষা-মাজা করা হয়নি কেন? যারা আজ ক্লাস টিচার বা হেড মাস্টারের দোষ খুঁজছেন তারাই নিয়মের পরিবর্তন মেনে নিবে না।
কিন্তু সেন্ট্রালী কেউ কি নেই, এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর?
অনুগ্রহ করে শিক্ষকদের দোষ না পেলে মুক্ত রাখুন, শিক্ষার্থীদের নিকট ভুল ম্যাসেজ পাঠাইয়েন না।
আসল দোষী হচ্ছে হাস্যকর নিয়ম আর দোষের বিপরীতে কাউন্সিলিং এর সুযোগ না রেখেই শাস্তি প্রদান। এটা আওব স্কুলের সমস্যা।
নিয়ম মানার কারণে হাজতে রাখা শিক্ষকদের মুক্ত করুন এবং প্রতি স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে শাস্তিপ্রদান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করুন।