একটা পাকা রাস্তা গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে গেলে দুরে। একটা ভ্যান আমাদের অনেকদুর নিয়ে গেল। সেখানে এক বাড়িতে গানের আসর বসেছে। মাইকে গান শোনা যায়।
বাজার থেকে পরোটা, সবজি আর ডিমভাজি কিনে রুমে ফেরার পথে ব্রিজের উপর থেকে নামার সময় রিক্সা উল্টে গেল। হাত পা ছিলে একাকার।
কাল ঢাকায় ফিরে যাব। ময়মনসিংয়ে গিয়ে, দুপুরে খেয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাবার পরিকল্পনা।
রুমে ফিরে পরোটা খেলাম। গা হাত ব্যথা করছে।


কেয়ারটেকারকে এখানকার স্থানীয় মদ চু দিতে বলেছিলাম। সে দেখি দুই লিটারের বোতল ভর্তি চু দিয়ে গেছে। ভাত হাড়িতে করে জ্বাল দিয়ে এই চু বানানো হয়। প্রথম এর গল্প শুনেছিলাম রাফিজের কাছে।
খেয়ে মজাই লাগল। কটু গন্ধ নেই। স্বাদটা্ও হালকা। তবে মিরাজ খেলো না। সে নাকি চু মু খায় না।

এরপর খুললাম টেঙ্গুর বোতল।
চমৎকার জিনিস। কমলার ঘ্রাণ মেশানো পানীয়। হালকা মিষ্টি। মাথা ভালোই টাল হলো।
দুজন মিলে বাংলোর ছাদে চেয়ার পেতে বসে রইলাম অনেকক্ষণ। সোমেশ্বরী নদী ছুয়ে হালকা বাতাস আসছে। সেই বাতাসে দুলছে সুপারি গাছের পাতা। মাথার উপর আধখানা ঝুলে আছে অষ্টাদশীর চাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৮