দেশের নদ-নদীগুলোকে যে কোনও মূল্যে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং দখল হয়ে যাওয়ায় নদীগুলো প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। এগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা বিশাল একটা প্রজেক্ট হবে, সময় লাগবে অনেক। কিন্তু এটা আমাদের করতেই হবে।" বিস্তারিতঃ Click This Link নদীগুলোর নাব্যতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই ইতিবাচক মনোভাব প্রশংসনীয়।
আশা করি বাংলাদেশের অনেক নদীর স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নাব্যতা রক্ষার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টিপাইমূখ বাঁধের বিরুদ্ধেও সাহসী ভুমিকা রাখবেন।
বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিবিদেরা দেশের জন্যে উল্লেখজনক অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে সমালোচনা আছে। কিন্তু আমি মনে করি, ভারতকে টিপাইমূখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করতে বাধ্য করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখতে সমর্থ হবেন। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার দেশপ্রেমিক, নির্ভিক, সাহসী ভূমিকা দেখতে চায়। বঙ্গবন্ধু কণ্যা এই ধরণের ভুমিকা রাখার যথেষ্ট যোগ্যতা রাখেন।
মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান আমলে পরিকল্পনা নিয়েও ভারত ফারক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর ব্যর্থতায় সেই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত। যদিও, মাওলানা ভাষানী প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন।
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ প্রতিরোধের ব্যর্থতাকে বর্তমান প্রজন্ম তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীকে কখনই ক্ষমা করতে পারবেনা।
যাই হোক, বাংলাদেশের আরেক মরণফাঁদ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এই ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাহসের সাথে তার প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্যে আমি অনুরোধ জানাব।
এর মাধ্যমে গত কয়েক দশকে রাজনীতিবিদেরা দেশপ্রেম দেখাতে যে ব্যর্থতা দেখিয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ভুমিকা পালন করবেন- এই আশাই আমরা করছি। অন্যথায় বাংলাদেশের বর্তমান জনগণ ও পরবর্তী প্রজন্ম উনাকে ক্ষমা করবেনা।