মেধাবী দুই ক্যাটাগরির। প্রতিষ্ঠিত বা স্বীকৃত মেধাবীদের বসবাস সমাজের উচুতলায়। আর অপর ক্যাটাগরিরদেখা মেলে ডঃ জ্যোতির্ময়ের চেম্বারে।
এঁদেরই একজন বুদ্ধিদীপ্ত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমার পাশের জনের চোখ তখন ছলছল করছে। আশেপাশের মেধাবীদের সহ্য হচ্ছেনা। সেই ছলছল চোখ টার্গেট মেধাবীর, "মোর আম্মা যদি খালি মোর চোখোত পানি দেখিলহায়..."
আমি মেধাবীর কথা উপেক্ষা করার চেষ্টা করছি। কি বলতে কি বলছে ঠিক নেই। এখানে সত্তিকারের পাগল যে আছে সেকথা বলা যাচ্ছেনা এখনই।
কেবল বললাম,কায় কান্দে কান্দুক উল্লা দেখার তুই কায়?
বুলেটের মত প্রতিউত্তর আসে, "সাঈদী মোক পুরা বাংলাদেশ লেখি দিয়া গেছে।"
আমি হতবাকের মত চেয়ে আছি, কোথাকার জয়েন্ট কোথায় লাগাবো বুঝতে পারছি না।এরা সত্তিই মেধাবী, আম জনতার চেয়ে অনেক অনেক।
কিছুক্ষণ পরপর দুই স্তরের মেধাবীর কথোপকথন হয়। এক স্তর অপর স্তরকে পরামর্শ দেয়। শেয়ার করে। এর একটা নামদেয়া হয়েছে-কনসাল্ট। উচুস্তরের মেধাবী এক্ষেত্রে ঘন্টা চুক্তিতে টাকা নেয়। এর নাম নাকি কনসাল্ট ফি। সাইকোথেরাপির নাম করে প্রতিষ্ঠিত মেধাবী এবার চতূরতা করে। অন্য মেধাবীকে মেধামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক হবার পরামর্শ দেয়। মেধামুক্তের এই সফলতার উপর নির্ভর করে মেধাপ্রতিদ্বন্দীদের সাফল্যব্যর্থতার পরিসংখ্যান। উঁচুশ্রেনির মেধাবী আরো উঁচুতে যায়। আর দ্বিতীয়রা সিরিয়ালের অপেক্ষা করে।
এদের অপেক্ষার প্রহর একঘেয়েমিমুক্ত করার প্রয়াসে ওয়েটিংরুমে থাকে একটা টিভি। সেই টিভিতে চলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি,ডিসকোভারী। টক শো কিংবা ডেইলি নিউজগুলোর মত আননেসেসারি ইভেন্টগুলো বাদ দেয়া হয় বরাবর।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫