somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদম সত্য ভুতের ঘটনা।।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন আগের ঘটনা। গ্রামে একটা লোক বাস করত তার স্ত্রী-সন্তানদের সাথে। পরিবারের অবস্থা বেশ ভালোই ছিল। অনেক
সুখেই কাটছিল তাদের দিন। সেই লোকটার নাম ছিল "শফিক"। হয়তোবা আরো অন্য কোন নাম ছিল তার কিন্তু ডাক নাম ছিল শফিক ।
যাই হোক আসল ঘটনায় আসি। একদিন শোনা গেল যে শফিক কে নাকি পরী ধরেছে আবার কেউ বলছে ভূতে আবার কেউবা বলছে কালি ধরছে। শুরু শফিকের বাড়ি ফকিরের আসা যাওয়া ।অনেক ফকিরের অনেক মত ।মাঝে মাঝে প্রায় কিছুদিন পরপর শফিকের ভয়ংকর আচরন দেখা যেত । একরাতে সে বিছানায় শুয়ে আছে ।মাঝরাতে শফিক হঠাত্ বিছানা ছেড়ে উঠল রাত তখন দুটো থেকে আড়াইটা হবে ।কেউ একজন তাকে ডাকছে চেহারাটা ভিষন কালো কুটকুটে।শফিক বিছানা ছেড়ে উঠেই সে নদীর দিকে হাঁটতে শুরু করল ।আপন মনে অনেক কথা বিড় বিড় করে বলতে লাগল।তারপর সে হাটতেই থাকলো।একটু পরেই তার স্রী টের পেল ব্যাপারটা তাই কিছু লোককে রাতে ডেকে তুলে শফিককে ফেরাতে গেল।এতক্ষনে শফিক প্রায় নদীর কাছা কাছি ।যেই সে পানিতে নামতে যাবে অমনি লোকজন সবাই তাকে ধরে ফেলল ।শফিক অনেক চেষ্টা করল পানিতে নামতে কিন্তু পারলো না ।এভাবে প্রায়ই শফিক রাতে বেড় হতো কেউ না কেউ টের পেত আর ওকে বাঁচতো। এখন আবার কেউ কেউ বলতে শুরু করলো যে ওকে নদীর কোন অসুভ শক্তি ওর ওপর ভর করেছে। গ্রামে মানুষ নদীর এই অসুভো শক্তিকে "মাসান"নামেই চিনে ।এই মাসানের অনেক ক্ষমতা । দিনেও এরা যাদের রাশি খারাপ তাদের আক্রমন করতে পারে ।কেউ এদের কাছ বেঁচে যায় কেউবা বাঁচতেই পারেনা।যারা বেঁচে যায় তাদের চেহারা অনেক শুকিয়ে যায় আর তারা আর কোন দিন নদীতে নামতেই চায়না । আসলে হয়তোবা এটাই ঠিক । একরাতে শফিক মাঝরাতে উঠল তবে এবার কিন্তু নদীতে গেল না সে এলো মসজিদে ।ফজর নামাজের সময় সে নিজে আজান দিয়ে নামাজ আদায় করল । এবং দুপুরে এলো নদীতে মাছ
ধরতে ।সাথে স্রী আর ছেলে ছিল । কিছুক্ষন মাছ ধরার পর হঠাত্ শফিকের স্রী শফিককে বলে বাড়ি চলে গেল ।সে মাছ মারছে তো মাছ মারছেই।নদীতে একটা যায়গা ছিল যেখানে পুরো নদী শুকিয়ে গেলেও ওই যায়গা টা শুকাতো না ।ওই যায়গাটা অনেক ভয়ংকর যেখানে অনেক মানুষ মরেছে এখানে।ঠিক আজ শফিক ওই জায়গাতে মাছ ধরছে । ভাবছেন সবাই জানে ঐ জায়গাটা ভালো না কিন্তু শফিক কেন ওখানে গেল মাছ ধরতে । আসলে শফিক ছিল সাহসি আর নদীর ওই ভয়ানক জায়গাটিকে সে বিস্বাস করতো না ।যাই হোক সে পানিতে ডুবদিল মাছ ধরলো । কিন্তু এবার ডুবটা দেয়ার পর কেন জানি শফিক আর উপরে উঠছে না ।৫ মিনিট ১০ মিনিট কেটে যায় সে আর পানি থেকে উঠে না । ওইযে পানিতে পানিতে ডুব দিল সে আর উঠছেই না ।তার ছেলে চিত্কার চেঁচামেঁচি শুরু করল ।সে সবাই কে বলল তার আব্বু পানিতে ডুবদিয়ে আর উঠছেই না। নদীতে সবাই নেমে খোজাখুজি শুরু করল। ৩০ মিনিট পার হলো তবুও নদীর
পানি থেকে শফিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । অবশেষে ৩৫ মিনিট পর কেউ একজন হাউ মাউ করে কেঁদে উঠে জানালো শফিককে পাওয়া গেছে । শফিকের স্রী নিজেই তার স্বামীকে খুঁজে পেল ।সবাই ধরে শফিককে নদীর পাড়ে তুলল ।ওর পেট থেকে পানি বেড় করার চেষ্টা করা হলো কিন্তু কাজ হলো না কারন সে আর নেই । ডাক্তার বলল শফিক আর নেই মারা গেছে।শফিকের ফর্সা মূখ কালো হয়ে গেল।সে অনেক ভালো মানুষ ছিল ।আজ আর কেউ ওকে বাঁচাতে পারলো না চলে গেল সে সবাইকে ছেড়ে।পরিবার ঢেকে গেল অন্ধকারে।তারপর শফিককে দাফন করা হলো মসজিদের সাথেই কাছাকাছি একজায়গায়!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৫০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩



গতকাল ছিলো বাংলা নববর্ষ।
সকালে এক জরুরী কাজে আমি উত্তরা গিয়েছিলাম। আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু দেরী করে ফেললাম। আজ বাসার সবাই মাওয়া যাবে। সেখানেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই সময়ের কিঞ্চিৎ ভাবনা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

বাক স্বাধীনতা কিংবা যা মনে আসছে তাই লিখে বা বলে ফেলছেন, খুব একটা ব্যাক স্পেস চাপতে হচ্ছে না এখন, তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোন দল নির্বাচিত হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: অপেক্ষা (১ম পর্ব)

লিখেছেন শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ফকির আবদুল হাই সাহেবের সাথে পরিচয় হয় যখন আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখন। খুবই আধ্যাত্মিক আর রহস্যময় মানুষ। পেশায় একজন অধ্যাপক। অধ্যাপনা ছেড়ে আধ্যাত্মিকতা করেন, ফকির নামটি তার নিজস্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৮

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ১০ জনের একটা গ্রুপ আছে। আমরা বেশীরভাগ সময়ই সমসাময়ীক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। গত তিনদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের মডেল মসজিদ প্রকল্প: রাজনীতি, প্রতারণা ও সমাজের প্রতিচ্ছবি

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৪


২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়। ইসলামপন্থীদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে তারা ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগানোর পথ বেছে নেয়। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা সরকারকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×