মায়ের কাছে বাচ্চার স্কুল থেকে চিঠি আসছে। মা চিঠিটা পড়তে পড়তে কেঁদে দিলেন। ছেলে জিজ্ঞাসা করলো
- মা কী লিখেছে?
মা শক্ত হলেন, চোখের পানি মুছলেন। বললেন, লিখেছে
"আপনার ছেলে অতিরিক্ত বুদ্ধিমান। আমরা খুবই ছোট একটা স্কুল। এত ব্রিলিয়ান্ট ছেলেকে পড়ানোর মত আমাদের কোন শিক্ষক নাই।
আপনি বরং আপনার ছেলেকে বাসায় পড়ান"।
মা তাকে বাসায় পড়ানো শুরু করলেন। মা মারা যাবার পর পুরনো জিনিসপত্র ঘাটতে গিয়ে ছেলেটা একটা চিঠি পেলো। যে চিঠিতে আসলে লেখা ছিলো
"আপনার ছেলে একটা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে যেন আর কোন দিন স্কুলে না আসে।"
ছেলেটা কে জানেন?
- যিনি পৃথিবীর অন্ধকার দূর করেছেন, ইলেক্ট্রিক বাল্ব আবিষ্কারের মাধ্যমে
- যিনি কথা বলার পরে যে তা রেকর্ড করে রেখে তা আবার পরে শোনা যায় তা আবিষ্কার করেছিলেন ফনোগ্রাফ আবিষ্কারের মাধ্যমে
- যিনি ভিডিও ক্যামেরা আবিষ্কার করেছিলেন
- যিনি টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করেছিলেন
- যিনি কার্বন মাইক্রোফোন আবিষ্কার করেছিলেন
কত বলবো বলেন! মোট আবিষ্কার তো ২৩৩২ টা (শুধু আমেরিকাতেই ১০৯৩ টা)! বলা হয়ে থাকে, তিনি প্রতি দশ দিনি ছোটখাটো কিছু নতুন জিনিস তৈরী করতেন। আর প্রতি ছয় মাসে বিশাল কোন না কোন কিছু আবিষ্কার করতেন। ভদ্রলোক কানে খুবই কম শোনতেন। তার নাম টমাস আলভা এডিসন।
যেদিন, তিনি মায়ের মৃত্যুর পর সেই চিঠিটি পড়েছিলেন। সেদিন তিনি কয়েক ঘন্টা কাঁদলেন। তারপর তার ডায়রীতে লেখলেন
“Thomas Alva Edison was an addled child that, by a hero mother, became the genius of the century.”
অর্থাৎ টমাস আলভা এডিস যে ছিলো একজন মানসিক প্রতিবন্ধী, যার মহিয়সী মায়ের কারনে সে শতাব্দীর শ্রেষ্ট বুদ্ধিমান হয়েছে"
সন্তানের জন্য মা সব পারেন, সব। জাতি সাপের আর কতটা বিষ! সন্তানকে বাঁচানোর জন্য মা তার চেয়েও কোটিগুন বিষ নিয়ে ছোবল দিতে জানেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৫