চুল কাটাইলাম। এরপর বল্লাম
- ভাইগ্না শরীরটা একটু বানায়া দে...
মাত্র মজাটা নেওয়া শুরু করছি। দুই পিচ্চ আসছে চুল কাটাবে। একজন ফাঁকা সিটে বইসা পড়লো। আরেকজন আমার পাশে ভ্রু কুঁচকায়ে দাঁড়ায়ে আছে। মনেমনে ভাবলাম, আধাঘন্টার সুখে আমার বালি। ডিসিসান নিলাম, আর দুইটা মিনিট পরেই খেমা দিবো। এরই মধ্যে পাশ থেকে পিচ্চি কর্কশ কণ্ঠে বললো
- আংকেল, শরীর মাসাজটা কি আপনার বেশী জরুরী!
ধাম কইরা খাড়ায়া গেলাম। বললাম
- নাহ ব্যাটা মোটেই জরুরী না। তুমি বসো।
সেলুনের সুব্রত কয়
- মামা বসেন বসেন। ও দেরী করুক।
আমি বললাম
- নাহ, আমার সময়ের খুব একটা দাম নাই। সময় এখন ওদের। ওর পড়াশোনা আছে।
টাকা দিয়া দোকান থেকে বের হচ্ছি। পাশের পিচ্চি বললো
- আংকেল বাসায় গিয়া ও গেমস খেলবো, তাই এত তাড়া।
মিষ্টি একটা হাসি দিয়া বাইর হইয়া আসলাম। দুই পিচ্চি খিলখিল করে হাসা শুরু করলো। আমারে বোকা বানাইতে পারার আনন্দে এই হাসি। আমি নিশ্চিৎ করে বলতে পারি, এরা যখন বড় হবে, তখন এই গল্পটা রসায়ে রসায়ে করবে। বলবে, একটা আংকেলকে এমন করে বোকা বানাইছিলাম।
বোকা হয়েও এমন নির্মল আনন্দ দিতে পারার সুযোগ জীবনে খুব একটা আসে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫২