যে নদীতে এখনো সারি সারি পানকৌড়ি, বক, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, জেলে-মাঝির হাকডাক আছে। সে নদী বরাদ্দ হয়ে গেল আবাসন শিল্পের নামে। ভদ্রলোকদের নদীর পাড়ে নির্মল বাতাস প্রয়োজন। তাই তারা নদীর দখল করে নিল। কিন্তু নদীকেন্দ্রিক এই কৃষক-জেলে-মাঝি মাল্লাদের পেশার কি হবে?
আমার-তোমার বিশুদ্ধ খাবার যে নদী থেকে আসে তার কি হবে?
অর্থনীতি আর উন্নয়নের বলি এই নদীর দখলদার কোন একজন আমার মত নিচু তলার মানুষ কিংবা কৃষক, মাঝি, জেলে নেই। দখলদার শুধুই ভদ্রলোক আর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী লোকজন। তাদের কাছে শুনতে হয় নীতি কথা।
এ কথা বলতে পারি এটাই বিস্তৃণ বালু নদীর শেষ বর্ষা। আগামী বর্ষাতে বালু নদী আর এতটা বিস্তৃণ হতে পারবে না। বালু নদী হত্যাকারীদের রুখে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের হয়নি। কারণ দেশপ্রেমের নামে আমরা যা চর্চ্চা করি তাহল গোলামী। একটা রাষ্ট্রের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতি সমর্থন দেওয়ার নামও দেশপ্রেম হয় এইদেশে।
দুনিয়াতে রাষ্ট্রদ্রোহী মানুষের সংখ্যা বাড়ুক। মানুষ হোক মানুষ প্রেমিক, মানুষ হোক প্রকৃতি প্রেমিক, মানুষ হোক দুনিয়া প্রেমিক। দেশ প্রেমিক হবার দরকার নেই।
রাষ্ট্রের সকল অনৈতিক কর্মকান্ডে সর্মথন দেওয় নামক দেশপ্রেম ধুইয়া পানি খাওয়ার দিন শেষ হোক।
আমি বলি না আল্লাহর গজব নামবে আর বন্ধ হবে প্রকৃতির প্রতি ভদ্রলোকদের অত্যাচার। আমি স্বপ্ন দেখি আমার মৃত্যুর আগে আমার হাতুড়ির আঘাতে একটা হলেও ভদ্রলোকের নদী দখল করে গড়ে উঠা আবাসন গুড়িয়ে দিব। রাষ্ট্রের যে উন্নয়ন কৃষক-জেলে-মাঝির পেশার নিরাপত্তাহীন করে দেয়।
আমার বিশুদ্ধ খাবারের উৎস নদী আর নদীর তীরগুলো ভদ্রলোকদের বিলাশী জীবন যাপনের জন্য বরাদ্দ দিতে ব্যস্ত। আমি সেই রাষ্ট্ এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন বিরোধী লোক।
#বালু_নদী_দখল
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯