খুবই ছোট পোষ্ট লেখলাম। বড় লেখতে ইচ্ছে করেনা। আগ্রহীরা বিরিশিরি নিয়ে আগের পোষ্টটি পড়ে দেখবেন। ৫ বছর আগের লেখা, তখন ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখেছিলাম। পরে সামহোয়ার ইন ব্লগে রেজিস্ট্রেষন করার পরে প্রথম ট্রাভেলগ ওটাই।
কিছু ব্যাক্তিগত কাজে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলাম। সরকারী অফিসে দৌড়া দৌড়ি করতে হবে। কিছুক্ষনের মাঝেই প্রচন্ড বিরক্তি ধরে গেল। লোকজন যেন পণ করেছে তারা কাজ করবেই না। ঘুষ দেয়া বাংলাদেশে একটা দস্তুর। পিয়ন থেকে বড়-কর্তা সবাই হা করে বসে আছে... কিন্তু খেয়ে দেয়ে বেমালুম ভুলে যাচ্ছে। এক কর্তার সাথে দেখা করতে হবে, ভদ্রলোকের দেখা নেই, লাঞ্চে গেছেন, লাঞ্চ শেষে গেছেন নামাযে, নামায শেষ করে হয়তো দিবানিদ্রাতেও গেছেন। পিয়ন ব্যাটা বললো সারাদিন লাঞ্চ করেনি, তাকে লাঞ্চ খাবার শ খানেক টাকা খাওয়ালেই সে ব্যাবস্থা করবে, খাওয়ালাম। খাওয়ালাম, টাকা নিয়ে সে সেই যে গেল আর হদিশ পাইনা, পরদিন গিয়ে শুনি সেই পিয়ন সপ্তাহখানেকের জন্যে ছুটিতে গেছে আজকে নতুন পিয়ন, অদ্ভুত ব্যাপার এও নাকি সারাদিন ব্যাস্ততায় খাওয়া দাওয়ার সুযোগ পায়নি।
বিরক্ত হয়ে ভাবলাম কাজ কর্মের গুল্লি মারি। পরদিন সেই সরকারী অফিসে যাবার কথা ভাবতেই মনটা বিষিয়ে উঠলো। হ্যাভারস্যাকে ক্যামেরা আর মানিব্যাগে হাজার খানেক টাকা ভরে চলে এলাম মহাখালি। বিরিশিরি যাব। বিরিশিরি শেষবার গিয়েছিলাম ৫ বছর আগে। কিভাবে যায় কই থাকে কিছুই জানতাম না। শুধু জানতাম বিরিশিরি নেত্রকোনায়। কিছু রাস্তা বাসে, কিছু রাস্তা বালু ভর্তি ট্রাকের পিছে, কিছু রাস্তা হেটে, কিছু রাস্তা নৌকায়, কিছু রাস্তা রিক্সায় এর পরে কিছু রাস্তা মোটর সাইকেলে। ঝুম বর্ষায় সোমেশ্বরী আশপাশের সবকিছু প্লাবিত করে রুদ্র মুর্তি নিয়েছিল। আর এবারে দেখলাম সোমেশ্বরীর ঢল হীন শান্ত নিরুদ্রুপ সৌন্দর্য।
বিরিশিরিতে নেমে দেখলাম এবারে ওয়াই ডাব্লু এম সিএ দারুন একটা গেষ্ট হাউজ করেছে। আগের বার ছিলাম ওয়াইএমসিএ’তে। সেটাও মন্দ নয়। কিন্তু এটা তুলনামুলক ভাবে অনেক ভালো। এবারে অবশ্য ঘুরোঘুরি তেমন কিছুই করিনি। সারাদিন পরে পরে ঘুমিয়ে রাতের দিকে হেঁটে হেঁটে হাজং পল্লীর গভীরে। খোলা মাঠে শীত কুয়াশার চাদরে শুয়ে শুয়ে আকাশের তারা খসা দেখা, কালপুরুষ, সপ্তর্ষী মন্ডল, মিল্কি ওয়ে আর নাম না জানা তারাদের বিশালত্ব দেখা ঘোর অমাবশ্যার রাতে।
গারো পাহাড়ের কোলে, সোমেশ্বরীর বুকে...
সোমেশ্বরীর ব্রীজে...
ব্যাঙ্গাচি
সাদা পাহাড় (চিনা মাটির পাহাড়)
দস্যিপনা...
রানীক্ষং
সাদা পাহাড়ে...
সোমেশ্বরী.....
ইন এন্ড আউট ফোকাস।
ওয়াই ডাব্লু এম সি এ
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৩