
১।
এক তোমার জন্য আমার অভিধান হারিয়েছে দুটি শব্দ, নষ্ট হয়েছে ডাইরির কিছু পাতা, আমার পৃথিবী হারিয়েছে কিছু সময়। তোমার কারনে পেয়েছি কিছু নীরবতা, কিছু অন্ধকার, কিছু নতুন স্বপ্ন! জেনেছি নিজেকে, বুঝেছি তোমাকে । পেয়েছি পথ, হারিয়েছি সীমানা!
২।
চিটচিটে বালিশে মাথা রেখে দেখি আকাশের ক্রন্দন বাতায়ন ভেদে, হঠাৎ মনেহয় মাথার কাছে ছেড়া মানিব্যাগ থেকে মাথা গলিয়ে ১টা আধছেড়া ময়লা নোট উকি দিচ্ছে আমার দিকে। যেন রোষানলে পুড়ে উগরে দিচ্ছে একরাশ ঘৃণা, বিষাদ। যেন কটাক্ষ করছে...
জীবনের মানে খুঁজতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি, নিজের অজান্তেই বের হয়ে আসে অর্থহীন চাপা দীর্ঘশ্বাস।

৩।
নেশায় বুদ আমি, আমার শিরায় জন্ম নিচ্ছে একরোখা ভাইরাস। নিকোটিনের কাছে বন্দক রেখেছি ফুসফুস, দুই পেগ ভদকার কাছে বিকিয়েছি মস্তিষ্কের সুস্থতা। এলকোহল কেড়ে নিয়েছে স্পর্শের অনুভূতি। তামাকের এক দেয়াল দাড় করিয়েছি আলো আর অন্ধকারে মাঝে। পড়ে আছি অন্ধকারে, তামাকের দেয়াল আলোতে পুড়ে ধোঁয়ার নিঃসরণ- নেশার খোরাক!

৪।
কালো আত্মা আমার সয়তানের বসবাস! রক্ত কণিকাগুলো আজ লাল না হয়ে হয়েছে নীল! নেশার ক্ষুর কেটে যাচ্ছে স্মৃতি! কামনাহীন চোখ আজ নিথর, স্বপ্ন দেখেনা সেই চোখ, দ্যাখে সাদা হিরোইন, ফয়েল পেপার। হায়!! সর্বনাশা সেই চোখ! নিজ অজান্তেই লালা ঝরে মুখে, আবারো ম্যাচের কাঠিটা সজোরে ঘষে আগুন জ্বেলে পুড়ে দেয় ফিরে যাওয়ার ভাবনা, না এই জীবন থেকে ফিরে যাতে চায়না যুবক, নেশার দাসত্ব করতে চায় আজীবন। আবারো একটা স্নিফ... ঢলে পড়ে, অচেতন হয়ে যায় দুচোখ।
জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে দেয় একটি জীবন, কিছু স্বপ্ন, নরকের দ্বারে অট্টহাসি শোনা যয় কোন এক জল্লাদের! পৃথিবী থেকে তার কাছে চালান হতে যাচ্ছে নিষিদ্ধ আত্মা। জল্লাদের হাতে বন্য দাতের করাত!
৫।
তোমাকে অন্ধকার থেকে কুড়িয়ে এনে আলোর পথ দেখানোই আমার ভুল ছিল। অন্ধকারেই পড়ে থাকতে সেটাই ভালো ছিল, অন্ধকার পথের শেষে হয়ত আলোর দেখা পেতে; তাহলে আমাকে বুঝতে পারতে কারন অন্ধকারের শেষেই তো আমি দাড়িয়ে ছিলাম তোমার জন্য। কিন্তু তোমাকে হঠাত আলোর দেখা পাইয়ে দেয়াটাই আমার ভুল ছিল। কস্ট করে যদি আলোর দেখা পেতে তবেই বুঝতে আলোর মর্যাদা।
আলোর মর্যাদাই যেখানে বুঝনা তবে কেন কাল রাতে এসেছিলে? জাননা? তোমাকে আমি এখন আর দেখতে চাইনা! হ্যাঁ, সপ্নেও তোমাকে আমি দেখতে চাইনা। কেন আস তবু কাছে? ওহ! আলোর মর্যাদা বুঝনা বলে অন্ধকারে স্বপ্নে দেখা দাও?
তোমাকে বন্দি করে রেখেছিলাম, তোমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছি বলে কি তুমি আরো কাছে আসবে? তাহলে আমি তোমাকে হত্যা করব। বাধ্য হব হত্যা করতে।শুনেছি হত্যা করলে নাকি হত্যাকারী জাহান্নামে যায় আর নিহত জান্নাতে যায়।
তবে তাই হোক...! তোমাকে হত্যা করব আমি। আমাদের গন্তব্য হবে বিপরীত মুখী

৬।
মেয়েটি ছেলেটিকে বলে-
-আমি তোমাকে ভালবাসি
-কিন্তু আমি তোমাকে বলতে পারছিনা ভালোবাসি
-কেন?
-আমি তোমাকে হয়তো ভালোবাসি, কিন্তু জানিনা এর পরিনতি কি। আমি ভীত তোমাকে ভালবেসে পাওয়ার ব্যাপারে।
এরপর আর কি বলার থাকে মেয়েটার?

৭।
আমি ভালোবাসি শার্ল বোঁদলেয়ারের আশ্চর্য মেঘদল
জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি, হেলাল হাফিজের ঘরোয়া রাজনীতির
ধ্রুপদী তুমি আর তোমার লাল টিপ।
এটি ১ টি আবজাব পাঁচমিশেল তাৎক্ষনিক পোস্ট! পড়লেই হয়তো সময় নষ্ট হবে!!