কবি বলেছিলেন -
ইশ্বর কাঁদিলে বৃষ্টি নামে !
আমি বৃষ্টি নামার সূত্র জেনেছি
তাই খুব করে চাইছি -স্রষ্টার মনে দুঃখ বাড়ুক
খুব করে চাইছি -অঝোরে বৃষ্টি নামুক
ভেসে যাক পথ -ঘাট -খটখটে নদী
অঝোরে নামন্ত বৃষ্টিতে ভিজে
উষ্ঠাগত প্রাণটা জুড়িয়ে নেবো আমি !
বৈশাখে চৈত্রের খড়া
বুঝেছি স্রষ্টার মনে সুখ ভরা ,
একেই বুঝি বলে -"কারো পৌষ মাস -কারো সর্বনাশ ।"
স্রষ্টার মনে দুঃখ বাড়ুক খুব করে চাইছি
বৃষ্টি নামুক অঝোর ধারায় ,
চারিদিকে হাহাকার -পানি চাই ,পানি
তপ্ত বালিচর ,অগ্নি স্মরণী
খাল বিলে পানি নেই -শুন্য ধরণী !
চৌচির মাটি , চাতকিনী চেয়ে আছে
আকাশের পানে ,
বুঝে না কেউ -বৃষ্টি তো আকাশে নয়
স্রষ্টার মনে !
স্রষ্টার জন্য দুঃখ চাই - বলবো কার কাছে ?
স্রষ্টার কি স্রষ্টা আছে ?
নেই ,তবে ?
স্রস্টা -ই স্রষ্টা
স্রষ্টা 'হও' বললেই হবে ?
তোমার কাছে-ই চাইছি হাত তুলে
বৃষ্টি চাইছি স্রষ্টা তোমার কাছে ?
আমি তীর্থের কাক চেয়ে আকাশ পানে
ঘরে ফিরব বৃষ্টিতে আজ নেয়ে !
সেই বৃষ্টিতে ভিজবে ঠায় দাঁড়িয়ে কাক
জানালার কার্নিশে বসে -শালিক অঙ্গ জুড়াক ,
গাছের মায়াবি সবুজ পাতা গুলো
বৃষ্টিতে ভিজে তার চিরচেনা রুপে ফিরে যাক ,
ধরায় ধূলায় সুখের পরশ লাগুক !