লেখিকা, শহীদ জননী, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী......
একাত্তরে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমী আমেরিকায় পড়াশুনার পরিবর্তে দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।। অন্য কেউ হলে হয়তো বলে উঠতো বাইরের এতো শান্তির জীবন রেখে এখানে যুদ্ধ করবি !! কোন মানে নেই,, কিংবা হয়তো জোড় করেই নিজের ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতো। কিন্তু তিনি তা করেন নি, নিজের ছেলেকেই দেশের জন্য কোরবান করেছেন পাঠিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে । কারণ তিনি যে শহীদ জননী।।
কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন শফি ইমাম রুমী এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মাকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই শহীদ জননীর মযার্দায় ভূষিত হন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে তৈরীকৃত আন্দোলনের পথিকৃত শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধান্জ্ঞলী।
ভুলি নাই মা ভুলি নাই, 'একাত্তরের দিনগুলী' ভুলি নাই।। অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত হবে, এই বাংলার মাটিতেই হবে।।