মার্চ ১১, ২০১২
এশিয়া কাপ : গ্রুপ পর্ব
বাংলাদেশ v পাকিস্তান
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম
টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন মুশফিকুর রহিম। মো: হাফিজের ৮৯ রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬২ রানের স্কোর করে পাকিস্তান।
তখন সদ্য বিপিএল শেষ হওয়া টগবগে বাংলাদেশ দল। আস্তে আস্তে এগোতে থাকে। এক পর্যায়ে সাকিবের ব্যাট কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু যোগ্য পার্টনারের অভাবে তিনি ফিনিশিং দিতে পারেন নি। ৬৪ (৬৬) রান করে তিনি আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৪১ রানে । ইনিংসে তখনও বাকি ১১ বল।
সম্ভাবনাময় ম্যাচটি আমরা হেরে যাই ২১ রানে ।
মার্চ ২২, ২০১২
এশিয়া কাপ : ফাইনাল
বাংলাদেশ v পাকিস্তান
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম
আবারো টস জয় এবং ফিল্ডিং নেন মুশফিকুর। আগের ২টি ম্যাচে ইন্ডিয়া ও শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে টাইগাররা। বোলিং করতে নেমে ৫৬ রান করতেই পাকিদের ৪ ব্যাটসম্যান হওয়া। এর পর সারফারাজের ৪৬* আর আফ্রিদির ঝড়ো ব্যাটিং এর ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রানের স্বল্প পুজি দার করায় পাকিরা।
ব্যাটিং এ নেমে আবারো ঝড়ের গতিতে শুরু করেন ড্যাশিং তামিম ইকবাল। ফিফটি করে তামিম ফিরে গেলে রানের চাকা কিছুটা মন্থর হলেও সাকিব আবারো জবাব দিতে শুরু করেন। সাকিব ৬৮ (৭২) করে ফিরে গেলেও জয়ের ভিত তৈরী করে দিয়ে যান। তখনও মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে ছিলেন। শেষ বলে জয়ের জন্য ৩ রান দরকার ছিল, আর এরপরের অংশটা সবারই জানা।
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২
টি২০ বিশ্বকাপ : গ্রুপ পর্ব
বাংলাদেশ v পাকিস্তান
পাল্লেকেল্লে ক্রিকেট স্টেডিয়াম
টসে জিতে ব্যাটিং নেয় টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ৮৪ (৫৪) রানের ওপর ভর করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের চ্যালেন্জিং স্কোর করে বাংলাদেশ।
ব্যাটিং এ নেমে ইমরান নাজির ভালো সূচনা এনে দেন এবং তার ব্যাটে ভর করে ১৯তম ওভারে জয় পায় পাকিরা। এ জয় তুলতেও ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল তাদের।
মার্চ ৪, ২০১৪
এশিয়া কাপ : গ্রুপ পর্ব
বাংলাদেশ v পাকিস্তান
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম
টসে জয়লাভ এবং ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। আনামুল হক বিজয়ের ও ইমরুল কায়েস ভালো সূচনা করেন এবং আনামুল ১০০ (১৩২) করে আউট ফিরে যান। শেষ দিকে ৩ ম্যাচের ব্যান শেষে ফিরে আসা সাকিব ৪৪ (১৬) রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৩২৬ রানের বিশাল স্কোর দাড় করায়।
ব্যাটিং এ নেমে আহমেদ শেহজাদ ১০৩ রান করে ফিরে গেলে পাকিস্তানের ইনিংসে ধস নামতে শুরু করে। কিন্তু শেষ দিকে আফ্রিদির ১৮ বলে ঝড়ো ফিফটির সুবাদে ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে জয় পায় পাকিরা। দূর্ভাগ্যবশত সাকিবের বল আফ্রিদি ব্যাটিং এর সময় স্ট্যাম্পে লাগলেও বেইল না পড়ায় বেচে যায় আফ্রিদি।
উপরের সকল সমীকরনের মুল বক্তব্য হচ্ছে, গত ২/৩ বছরে আমরা পাকিদের সাথে অনেক ক্লোজ ম্যাচ খেলেছি, কিন্তু জয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পারি নি। শক্তির বিচারে আমরা সমান ছিলাম কিন্তু ভাগ্যের কাছে বার বার হারতে হয়েছে। কিন্তু এবার সময় ভিন্ন। পাকিদের বর্তমান দলের চে আমরা সব দিক দিয়েই এগিয়ে। ওদের চেয়ে আমরাই বেশি শক্তিশালী। তাই ফেবারিটের তকমাটাও আমাদেরই গায়ে। তার প্রমাণ প্রস্তুতি ম্যাচে দিয়েছি। ৩ ম্যাচের সিরিজেও দেয়া হবে।
১৯৯৯ সালের পর ১৬ বছর আমরা পাকিদের সাথে যে জয় খড়ায় ভুগছি, সময় এসেছে তা ফিরিয়ে দেয়ার। শুধু ১৬ বছর না, আগামী ৩২ বছরেও পাকিরা আমাদের সাথে কোন ম্যাচ জিততে পারবে পা। যদি ভুলে জিতেও যায় তাহলে ঐটা হবে এক্সিডেন্ট। কারণ, আমরাই এখন বড় দল ।
সাকিব হেটারদের উদ্দেশ্যে একটা কথা, ম্যাচের ডিফারেন্সটা কিন্তু সাকিবই গড়ে দিবে।