গল্পঃ চোর
পকেটমার ছেলেটি এখনও কারো পকেট চুরি করতে পারেনি। ভালো স্বাস্থ্যকর একটা পকেটের আশায় সে এখনও স্টিশনের লোকদের উপর কড়া দৃষ্টি রাখছে। যাক শেষ পর্যন্ত একজন পাওয়া গেল। সে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। কিন্তু একি চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে কেন? একটু পর রাস্তায় পাশে পড়ে রইলো এক বেওয়ারিশ লাশ।
১০মিনিট পর
কাস্টম অফিসার রফিক সাহেব আর কবির উদ্দিন রেস্টুরেন্টে বসে আলাপ করছে।
-- আর বলবেন না। দেশে যেভাবে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আর দেশে থাকা যাবে না। একটুর জন্য বেঁচে গেলাম।
-- জ্বী, স্যার। আমার কাজটা হবে স্যার?
-- যত বলছি, তা হলে আশা করি হবে।
দুইজনেই মুচকি হেসে কফিতে চুমুক দেয়।
গল্পঃগোঙ্গানির শব্দ
অন্ধকার রুম। মেয়েটির মুখ, হাত বাধাঁই ছিল। পা দুইটি খোলা ছিল। হয়তো কিছুটা আনন্দ কিংবা কিছুটা ভয়ে শুধু গোঙ্গিয়েই গেছে মেয়েটি। ছেলেটি ঘেমে একাকার। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ছেলেটি। মেয়েটির চোখের জল তখনও পড়তেছে, গাল বেয়ে, খোলা বুকের মাঝে।
পরেরদিন সকালবলা
অনিক বাসার দরজায় নক করে। কাজের মেয়ে দরজা খুলে দেয়। বাসাটা খুবই নিরব মনে হচ্ছে আজ। ছোটবোনের রুম থেকে মিশ্র এক ঠান্ডা গরম বাতাস বয়ে যাচ্ছে। অনিক ভেতরে প্রবেশ করলে তার মা এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে বলে " কোথায় ছিলি তুই, রুমার তো সর্বনাশ হয়ে গেছে।" অনিক, খাটের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে আর তাকাতে পারলো না, তার চোখ দুটি যেন ঝলসে যাচ্ছে আর কানে ভেসে আসে " গতরাতের মেয়েটির গোঙ্গানির শব্দ "
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯