কয়েকদিন আগে দেশের সবচেয়ে বড় লঞ্চ ''কীর্তনখোলা ২'' উদ্বোধন করা হয়েছে। এই লঞ্চটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ। ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে যেতে লঞ্চের গুরুত্ব অপরিসীম। সুন্দরবন, সুরভি, কীর্তনখোলা, সাগর এরকম অনেক লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে যাতায়াত করে। সরকারি মালিকানাধীনও কিছু নৌ
যান (স্টিমার) আছে, যেগুলো ''রকেট'' নামে পরিচিত।
বহু আগে থেকেই ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে নৌযানই বেশি জনপ্রিয়। ব্রিটিশ আমলে বেসরকারি বিলাসবহুল লঞ্চের ব্যবস্থা না থাকলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলত বিশেষ স্টিমার। এই সার্ভিস এখনো টিকে আছে নিরাপত্তা, আভিজাত্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে। স্টিমারকে বলা হয় নদীর রাজা। রাজকীয় ঢঙে পানি কেটে এগিয়ে চলে নিজস্ব গতিতে। ঘাট ছেড়ে যাওয়ার সময় বা ঘাটে থামার আগে বনেদি আওয়াজ তুলে ভেঁপু বাজায় স্টিমার ।
নামের মধ্যেও আছে খানদানি ভাব। গাজী, অস্ট্রিচ, লেপচা, শেলা, টার্ন ইত্যাদি। এ ছাড়া আবদুল মতিন, মনিরুল হক, মাহসুদ_এমন নামও আছে কোনো কোনোটির। সবই বিভিন্ন সময় বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডবি্লউটিসি) পরিচালনা করে এসব স্টিমার। গাজী এখন নেই। কয়েক বছর আগে এটি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে এখনো গাজীর কথা ভুলতে পারেননি যাত্রীরা। গাজী তৈরি হয়েছিল ১৯২৯ সালে। একই বছর তৈরি হয় পিএস মাহসুদ ও পিএস অস্ট্রিচ। এ দুটি সচল আছে। এমভি লেপচা ১৯৩৮ সালে, ১৯৫০ সালে এমভি টার্ন, ১৯৫১ সালে এমভি শেলা তৈরি হয়। উপকূলীয় সার্ভিসে থাকা আবদুল মতিন ও মনিরুল হক তৈরি হয় ১৯৫০ সালে।
যাইহোক, আজ আমি ৯০ বছরের পুরনো ষ্টীমার ''অস্ট্রিচ'' এর কিছু ছবি এ পোস্টে তুলে ধরব। অস্ট্রিচ এখনও ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করে। এটি ১৯২৯ সালে কলকাতার একটি শিপইয়ার্ডে তৈরি হয়, সরকারি মালিকানাধীন এ স্টিমারটি আজও সচল অবস্থায় আছে।
ঢাকা থেকে রকেট গুলো বাদামতলি রকেট ঘাট থেকে ছাড়ে। আমি এই রকেট ঘাট থেকেই ''অস্ট্রিচ'' এর ছবি গুলো তুলেছি।
নেম প্লেট

নেম প্লেট একটু দূর থেকে

এটি বাবুবাজার ব্রিজ থেকে তোলা, বাবুবাজার ব্রিজের একটু পাশেই বাদামতলি রকেট ঘাট অবস্থিত।

ব্রিজের উপর থেকে সন্ধ্যার সময় তোলা, তাই অন্ধকার

অস্ট্রিচের ছাদে ঝুলন্ত নৌকা, বিপদের সময় ব্যবহারের জন্য

পাশ থেকে অস্ট্রিচ

প্রবেশদ্বার

বারান্দা ও স্টিমারের চাকা

চাকা

সামনের লাইট

ডেক ও দোতালায় ওঠার সিঁড়ি

নীচতলায় ইঞ্জিনের করিডোর

এটি ইঞ্জিন, ৯০ বছর ধরে যা চলছে, বেলজিয়ামের শক্তিশালী ইঞ্জিন এতে সংযুক্ত রয়েছে

ইঞ্জিন

অস্ট্রিচের অগ্রভাগ, যেখানে লাইট ও অন্যান্য যন্ত্র রয়েছে

লাইট

নিচতলার ডেক, এর বাম পাশে ছোট্ট এক দোকান আছে, কিন্তু কিছু লোক ওখানে গঞ্জিকা (!) খাচ্ছিল বলে ছবি তুলি নি

বুড়িগঙ্গা নদী ও উপরে ওঠার সিঁড়ি

সিঁড়ি ও বুড়িগঙ্গা

বুড়িগঙ্গার পাড়ে অস্ট্রিচ

প্রবেশ পথ

প্রথম শ্রেণীর বারান্দা (দোতালায়)

প্রথম শ্রেণী

পেছন দিক

পেছন দিক, এটি সম্ভবত ঘাটে বেধে রাখার দড়ি

দোতালার ডেক (নিচতালার থেকে ভাল)

বয়া

দ্বিতীয় তলার ডেক

কাঠের তৈরি ফ্লোর

সিঁড়ি

বৃদ্ধ অস্ট্রিচ আজও সচল

সম্মুখভাগ, নৌকা থেকে তোলা, ঝাপসা হয়ে গেছে

সামনের দিক

বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝ থেকে নৌকায় তোলা

বাবুবাজার ব্রিজের উপর থেকে তোলা

ছাঁদ ও চাকা

ছাঁদ ও সম্মুখভাগ

অস্ট্রিচ অস্ট্রিচ

আমার পোস্টটি ফুরাল
নটেশাকটি মুড়াল
> সকল তথ্য এখান থেকে সংগৃহীত

কষ্ট করে আজাইরা পোস্টটি দেখার জন্য ধন্যবাদ
