১
ঝড়ো বেগে বয়ে যায় নিশ্চুপ আরাম
এক এক ফোঁটা শুকায় শরীরের ঘাম
তারপর নিদ্রার আবেশে অনন্তর
কেটে যাওয়া ঘোরে থাকে তোমার আমার মিলন,
চোখ বুজে।
২
দমবন্ধ করা চুম্বনের ঘোরের মতন গভীরে
খেলা করে আলোড়ন।
তুমি দেখো আমি দেখি
তুমি খোঁজ আমিও তাই
ভেতর থেকে ভেতরে, আরও ভেতরে।
একজোড়ায় প্রজাপতি ওড়ে
একজোড়ায় ফুল ফোটে
বেঁচে বর্তে থাকে ওরা অদ্ভুত আবেশে।
৩
এইতো আঁচড়
আর এই নখ।
প্রতি রাতের অন্তরে যে দাগ এঁকে যাচ্ছে
তোমার ঘাড়ের দেশে
লজ্জার আঁচল ডানা গুটিয়ে এগিয়ে আসে
এখানেই নখের প্রান্তে সূচনা করে অন্য সম্পর্ক।
আলোহীন তন্দ্রায়,
নিটল পিঠের ভাঁজে হাটে আঙ্গুল
এখানেই বুক বাঁধে কেউ
এক সুখের গুদাম।
এখানেই সন্ত্রাস আর এখানেই আদর।
বন্দুক তাক করে দাড়িয়ে থাকো
নখ হাতে এগিয়ে আসি।
৪
এই যে নতুন দিস্তা খাতাটা
এইখানে রঙিন চুলের পাখিরা বাসা বাঁধবে বলে
অন্য গান গায় আজ।
একজন ঝুটি নিয়ে মাথা দোলায়,
অন্যজন ঘাড় কাত করে দেখে শিস দেয়।
অনর্থক ঝগড়া করে হঠাৎ,
তারপর হেসে দিয়ে বলে “তুমি উড়ে যাওয়ার পর
একা ফেলে গেলেও, ঘরটি আলো হয়ে, তোমার গল্প বলবে।”
দিস্তা খাতাটি পাতা উল্টিয়ে দৃষ্টি প্রবেশ দরজা বন্ধ করে দেয়।
৫
এই যেমন তুমি। একটাই শব্দ। বুকের হলুদ দীর্ঘশ্বাস
নিঙরে খুব স্বল্পকাল হেসে উবে যায়। মৃত্তিকা
যা সবুজ দেয় তা তো তোমার জন্যই। তার থেকেও
বেশি সমুদ্র দেয় জল। তার থেকেও
অধিক আকাশ দেয় নীলিমা।
এত এত বেশি অধিকের ভীড়ে
তুমি সন্ধ্যের সময় এসে হারিয়ে যাও ছোট্ট
সন্ধ্যের মাঝেপথেই। বুকটা ধরে রাখে হলুদ রঙটাই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭