টুকরো সাক্ষর
১
সেই তুমি আছো অবিকল, অবিরত যার প্রেমে রয়েছি আমি
তোমার চোখ ঘুমঘুম জল কালো, মুছে দিয়ে আঁকছি নতুন চন্দ্রালো।
তোমার জন্য লেখা সব গানে, গুনগুনে ছড়িয়ে দিচ্ছি আমার সন্ত্রাস
বেদখল করে দিচ্ছি তোমার বুকের ভিটে মাটি, ছেড়ে দিয়ে কিছু নিঃশ্বাস।
২
যে পৃথিবী ফেলে এসেছি নিরবে কিংবা সরবে
নষ্ট হয়ে গেছে তা,
যে পৃথিবীতে আবাস গেথেছি, নষ্ট করে ফেলছি আমরাই।
যে পৃথিবী অনাগত, নষ্ট হয়ে যাবে তাও।
নদী রবে না, সবুজ রবে না, মনুষ্যত্ব রবে না
রয়ে যাবে শুধু নষ্ট পুরুষ, নষ্ট গর্ভ আর কয়েকটি নষ্ট সন্তান।
মানুষ অন্তত ভাবতে শিখুক।
৩
ঝড়ো বেগে বয়ে যায় নিশ্চুপ আরাম
এক এক ফোঁটা শুকায় শরীরের ঘাম
তারপর নিদ্রার আবেশে অনন্তর
কেটে যাওয়া ঘোরে থাকে তোমার আমার মিলন,
চোখ বুজে।
৪
দমবন্ধ করা চুম্বনের ঘোরের মতন গভীরে
খেলা করে আলোড়ন।
তুমি দেখো আমি দেখি
তুমি খোঁজ আমিও তাই
ভেতর থেকে ভেতরে, আরও ভেতরে।
একজোড়ায় প্রজাপতি ওড়ে
একজোড়ায় ফুল ফোটে
বেঁচে বর্তে থাকে ওরা অদ্ভুত আবেশে।
৫
এইতো আঁচড়
আর এই নখ।
প্রতি রাতের অন্তরে যে দাগ এঁকে যাচ্ছে
তোমার ঘাড়ের দেশে
লজ্জার আঁচল ডানা গুটিয়ে এগিয়ে আসে
এখানেই নখের প্রান্তে সূচনা করে অন্য সম্পর্ক।
আলোহীন তন্দ্রায়,
নিটল পিঠের ভাঁজে হাটে আঙ্গুল
এখানেই বুক বাঁধে কেউ
এক সুখের গুদাম।
এখানেই সন্ত্রাস আর এখানেই আদর।
বন্দুক তাক করে দাড়িয়ে থাকো
নখ হাতে এগিয়ে আসি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮