১৪ জুন, চে গুয়েভারা'র জন্মদিন। যাকে নিয়ে আমার বিস্ময়ের শেষ নাই। জানার আছে আরও অনেক কিছু। একটি কবিতা লিখে ফেলেছিলাম। যা কখনওই আমার কাছে পূর্ণ মনে হয় না। বারবার চেষ্টা করি যদি পাড়ি আর একটু সমৃদ্ধ করি। সবার সাথে আবার শেয়ার করলাম।
চে’র গান
বন্ধু হবি তুই আমার,
মখমলের কম্বল ছেড়ে ছেঁড়া কাঁথার স্বপ্নে?
বন্ধু হবি তুই আমার,
ঘরের কোমল হাওয়া আরামে নয়, মাথা ফেটে পড়া রোদে।
বন্ধু হবি তুই আমার?
চোখের কোণে আলোর মত,
অথবা কোলাহলে মিলে যাওয়া ধুলোর মত,
অথবা নিথর হয়ে যাওয়া ক্ষণে?
সেই কবে হাটা শুরু হয়েছিল এই পথে
কোন একদিন তোর দেখা পাব জেনে,
কোটি কোটি বছর ভালবেসে তোকে
শত-কোটি ‘আমার সন্তান’ হয়ে জন্মে
শত-শত-কোটি প্রাণ বুড়ো হয়ে মরে শেষে,
বন্ধু তোর দেখা পাইনা জগৎ ঘুড়ে, জগৎ জুড়ে।
ভেবে দেখেছিস?
পৃথিবী থেকে চলে যাবি।
কি রেখে যাবি?
কিছু দাগ রেখে যা।
যা কেউ না কেউ অনুসরণ করবে,
কারও মনের দেয়ালে জানালা খুলে দেবে।
আঁচড় দিয়ে যা কিছু বুকে।
এক জোড়া চোখ হয়ে ওঠ
যা অনাগত কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ দেখার চেষ্টায় ব্যাকুল হবে।
এক মস্তিষ্ক হয়ে ওঠ যা
সেই পৃথিবীর রংগুলো কেমন হবে সেই রং বাঁছাইয়ে মগ্ন।
এক জোড়া হাত হয়ে যা
পৃথিবীর বুকে খুব গভীর দাগ রেখে যাওয়ায় অতিব্যাস্ত।
এক জোড়া পা হয়ে ওঠ
যা পৃথিবীর পথে উপেক্ষাকে তুচ্ছ করে থেমে যেতে জানবে না।
একটি শার্ট গায়ে জড়াস,
শার্টটি লাল হয়ে উঠলে লোকে শরীরটা বাড়ী পৌছে দিয়ে যাবে।
অধিকার অথবা জীবনাবসান।
আমি ঘুরে দাড়াই অন্ধ ভূবনে,
শ্লোগানে শ্লোগানে আর পুরনো সংলাপে,
দেয়ালের লেখায়। লেখাগুলো আজ লেখা, বড় একা।
তুই ফিরে গেলেও দেখবি ভাঙা আয়নার কাঁচে।
অজস্র লেখা, একা। বন্ধু হবি তুই আমার,
স্পর্শ ভুলে দূরে থাকার ব্যাবধানে?
বন্ধু হবি তুই আমার?
কবির ফেটে পরা বিস্ফোরিত প্রতিবাদে,
অথবা উজ্জল আদর্শে, শপথে আর প্রতিজ্ঞার অবরোধে,
অথবা আমার ভেতর জন্ম নেয়া অদ্ভুত সন্তানে?
তোকে আমি ভালবাসা শেখাব,
তোকে আমি যুদ্ধ শেখাব,
আমি তোকে গান শেখাব জাগরণের পথে,
সত্য, অধিকার আর বাস্তবতার কন্ঠে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৯