বুড়া রাজনীতিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে সারা বাংলাদেশ। তরুণরা খোলা ময়দান বা রাজপথ ছেড়ে ঘরেই ফিরে যাচ্ছে। আসলে পরিকল্পনাটাই এমন মনে হয় আমার কাছে। তোমার এলাকায় খেলার একটা মাঠ থাকবে না। তো তুমি রাস্তায় খেলবে, রাস্তায় খেলতে বেশীদিন ভাল লাগবে না। তো তুমি বলবে “বাল”। বলে ঘরে ঢুকে যাবে। কম্পিউটারে খেলা শুরু করবে। একদিন সেটা ভাল লাগবে না। তারপর তুমি ইন্টারনেট নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যাবে। এই বয়সটায় নৈতিক ব্যাপার থেকে অনৈতিক যেকোন কিছু আকর্ষন করে অনেক অনেক বেশী। যৌবনের পুরো সময়টা কেটে যাবে এভাবে। যেদিন তুমি উপলব্ধি করবে দেশের জন্য তোমার একটা কিছু করার আছে মানে ২৭-৩০ বছর বয়সের দিকে। তখন দেখবে তুমি একটা ফার্মের মুরগী। তোমার মাথায় কিছুই নাই। শুধু পরীক্ষা পাঠের জিনিস ছাড়া। যা আজকে চাকরী দিয়েছে ঠিকই মানুষ বানায় নাই। টাকার সন্মান দিয়েছে ঠিকই, মানুষের সন্মান দেয় নাই। আর এই দশ বছরে দশটা জেনারেশন সরকারের খেলা মেনে নিয়ে কি হল?
বুড়া রাজনীতির কথা বলতে শুরু করেছিলাম। আমরা আসলেই সেইটায় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের উপর যা চাপায় দেয়া হয় তাই মেনে নিচ্ছি। সরকারী যে কোন সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে বাধ্য হয়ে আছি। বিশ্বকাপের উন্মাদনায় আমরা আরও কিছু হারাবো যেমন হাত ছাড়া হয়ে গেল “ছবির হাট”। আমরা বিশ্ব উন্মাদনায় মেতে থাকবো। আর অন্য দিকে একটি একটি একটি একটি করে উদ্যমহীন জাতি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে বলবে “আমরাই এই দেশের তরুণ সমাজ, চেতনায় উদ্বুদ্ধ আমরা বাল ছিইররা আটি বানায় ফেলবো, উইথ ইন টু ডে’স”।