ববির আগের পর্বঃ Click This Link
প্রথম পর্বঃ Click This Link
ফের ববি'র কথাঃ
ববি- নামটা কেমন মেয়েলি। সেটা সেও জানে, তবু এই নাম বলে সে মজা পায়। আর আমদেরও মনে হয় এই নামটা ছাড়া ওকে মানাত না।
সেদিন সন্ধ্যেয় গিয়েছিলাম তার সাথে ‘শায়লা’র বান্ধবীর বাসায়। ও জানে আমার মত ল্যাদা পোলাপান দিয়ে কিস্যু হবেনা। তারপরেও বন্ধুকে সাথে নিতে সে আরামবোধ করে।
ওই মেয়ের সাথে আমি যদি গুটুর ফুটূর করিও দু-দশ ঘন্টা- তাহলে ওরা নিরিবিলিতে রোমান্স করতে পারে! আমি বলে দিয়েছি দোস্ত আঙ্গুল সাবধান- যেভাবেই হোক হাত হয় তোর পেছনে না-হয় শায়লার পেছনে রাখিস!
শায়লা’র( মুল উচ্চারন ‘শ্যায়লা’) ওর বান্ধবীও আগুন! আমি নিশ্চিত ববি’র একখান চোখ এই দিকেও আছে। শায়লাকে ফর্মুলা দুই দিয়ে কবে আবার অজ্ঞান করে একে পাশে রেখে সারারাত ফুর্তি করবে বোঝা মুশকিল!
তবে ‘শায়লা’ যেমন শরির ঝলসে দেয় এ তেমন নয়, এর আগুন যেন শীতের ফায়ার প্লেস! উষ্ণতায় ওম লাগে।
উচ্চতা,শরিরের গড়ন, গায়ের রঙ আর পোষাকে-কথায় একে হলিউডের অতি খাসা নায়িকার সাথে তুলনা করা চলে।
পরিচয় পর্ব শেষে, গুটিশুটি মেরে বসে আছি। ‘ভাও’ বুঝতে পারছি না কোন পথে আগাব। সে একাজ-ওকাজের বাহানায় ঘরময় এধিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমি পিট পিট করে আড়ে-ঠারে খাটো স্কার্টের ফাঁকে তার অনাবৃত সুগঠিত ‘ইষ্টম্যান কালার’ ঠ্যাং দুখানা দেখছি।
কিন্তু বড় আফসোস ও অনুতাপের বিষয়, বন্ধু আমার আরো দু-একটা আঙ্গুল হারানোর মত বেকায়দায় পড়লেও এ মেয়ে নিতান্ত দয়াপরবশত; হয়ে এই আধা বাবনিককে ভুখা কাঙ্গাল ভেবে, ওষ্ঠে একখানা ‘গুড নাইট’ কিস দিয়েছিল মাত্র।
পরদিন অতি প্রত্যুষে, হানাদার বড় ভায়ের আক্রমনের ভয়ে আমরা সেখানকার পাততাড়ি গুটালাম। ইস স আমার সেখান থেকে আসতে যা কষ্ট হয়েছিল, বন্ধুকে বললাম; হৃৎপিণ্ড খানা রেখে যাই- পরে এসে না হয় নিয়ে যাব।
ও বলল,- ধুৎ শালা চল তাড়াতাড়ি ভাগি!
সেখান থেকে আমরা এক দৌড়ে ‘ওডেসা’।
ওডেসাতে গিয়ে উঠলাম- আমারই এক বন্ধুর বাসায়। আঠার তলা বিল্ডিঙ্গের সর্বচ্চো চুড়ায় থাকে সে।
এত উঁচুতে থাকে সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হল আঠার’শ শতকের লিফটখানা নিয়ে। কেঁচি গেইট( কলাপসিবল) বন্ধ করে বোতাম চাপার পরে মনে হয় সে শরির গরম করে কিছুক্ষন। তারপরে গোঁয়ার ষাড়ের মত গোঁ গোঁ করে খানিক্ষন, এর পরে কয়েকবার কাঁপুনি দিয়ে হেলে দুলে উঠতে শুরু করে। আঠার তলায় উঠতে গিয়ে বার বার গোত্তা খায়- ভয়ঙ্কর কাঁপুনি দিয়ে আটকে যেতে যেতে যেতে যায় না। আমরা দুই বন্ধু ইশারায় বলি, এই যাত্রায় বেঁচে গেলে হয়। একবার উপড়ে উঠলে আর নামছি না।
আমার বন্ধুর উষ্ণ অভ্যার্থনার উষ্ণতায় আমরা জ্বলে গলে পড়ি। সাথে একখানা ডাকসাইটে সুন্দরী রমনী থাকলে সবকিছুই ভোঁজবাজীর মত পাল্টে যায়! এরপরে অন্য কার ‘গোস্তে’(অতিথিশালায়) গেলে এমন একজন সুন্দরী রমনীকে হাতে পায়ে ধরে ধার করে নিয়ে যাব।
কৃষ্ণ সাগরের নাতিশীতোষ্ণ জলে ওদের জলকেলী আর উদ্দাম আদর আহ্লাদ জমে উঠল বেশ! এভাবে দু’চার দিবস রজনী গুলজার হল।
দু-এক ঘন্টা সঙ্গ ছাড়া থাকলেই সব যেন বরবাদ হয়ে যাবে- সেজন্য ক্ষনিকের ত্বরে কেউ কারো হাতের মুঠি ছাড়ে না। মনে হয় চারিপাশে ববি’র মত আরো অনেক বাবনিক ঘুরে বেড়াচ্ছে যারা এমন মেয়েকে ভাগানোর জন্য মরিয়া।
আমার ওডেসা’র সেই বন্ধু বেশ স্মার্ট কিন্তু রুশ ভাষায় লবডঙ্কা! সে এখানে আছে এক আদম ব্যাপারির হয়ে। ব্যাপারি বাইরে থেকে লোক (আদম) পাঠায় আর সে বাড়ি খুঁজে খুঁজে তাদের আবাসন করে। সেই সাথে খাবার- দাবারের দায়িত্বটাও সে পেয়েছে। বাইরে ঘর না পেলে বা লোক সঙ্কুলান না হলে দু’চার দশজনকে নিজের এখানে এনে রাখে।
কৃষ্ণ সাগরের এমন উষ্ণ আবহে থেকেও আজ পর্যন্ত জুতের একটা বান্ধবী যোগার করতে পারেনি। ববি’র বান্ধবীর চেহারা সুরত চলন বলন দেখে চরম পুলকিত হয়-কল্পনার সাগরে ভাসে যে, তার দুয়ারও এমনি এক রাজকুমারীর পদধুলিতে ধন্য হবে। ফাঁক পেলেই সে ববির কাছে নারী পটানোর মন্ত্র জানতে চায়?
ববিও ফাজলামি করে বলে কিস্যু না ভাই, ডাইরেক্ট জাপটায় ধরবেন। কথা বার্তার সময় আছে নাকি? এই দেখেন না- সারাক্ষণ আমরাতো ঠোটে ঠোট চুবায় রাখি- কথা কই কখন?
সেই বন্ধু ভীষণ লজ্জা পেয়ে বলে, কি বলেন ভাই- কই আপনি আর কই আমরা। আপনার মত চেহারা ফিগার থাকলে আমাদেরও আর কথা কইতে হত না।
কিন্তু এমন নায়কোচিত চেহারা ফিগার নিয়েও ববি ধরা খেল!
কোন এক প্রভাতে আমার জিগার দোস্ত ববি ফের সিঙ্গেল হয়ে গেল! সে মেয়ে এবার অন্য কারো সাথে ভেগেছে।
দোস্ত আমার, মনের কষ্টে আঠার তলা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়ে ভূতলের অসীম দুরুত্ব দেখে পিছিয়ে এল।
পরে আকন্ঠ বাঙ্কা (কাঁচের জার) বাঙ্কা মলদোভিয়ান রেড ওয়াইন গিলে – গলা জড়িয়ে কান্নাকাটি করে সবকিছু ভোলা ছাড়া গতি রইল না। ওর সাথে আমি কাঁদলাম ফাও! .....
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link