আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব কিছুতেই আগে মেয়ে মানুষ । মেয়েটা কেন প্রেম করে ! মেয়েটা কেন পরকিয়া করে । মেয়েটা খারাপ না হলে প্রেম করে । মেয়ে টা কেন এত বয়স্ক একজন মানুষ কে বিয়ে করেছে , মনে হয় টাকার লোভে , সব কিছুতে মেয়েদের উপর আঙুল তুলে এই সমাজ । এটা কিন্ত আজকে থেকে নয় সেই মহাভারতে আগ্নিকুন্ডে তাকে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয়েছে ।
এই যে ছেলেরা পতিতালয়ে,বাসার কাজের মেয়ে,অফিসে অফিস কলিগ, এতো নারী ছুঁয়ে বেড়ায়! কই একটা পুরুষকে তো চরিত্র হীন বলে না কেউ ।মেয়েদের বেলায় যত ছোঁয়াছুঁয়ি বিচার।মেয়েদের বেলায় যত ছি ছি,,
মেয়েরা ডাঃ, ইন্জিনিয়ার,আইনজীবী, কবি,লেখক,সাধারণ চাকুরী জীবি, কাজের বুয়া,যেটায় হোক না কেনও, আগে তার সতীত্বটা ঠিক রাখতে হবে।তারপর সব।দিন দিন এমন হচ্ছে, মেয়েরা তার সতী হবার চেষ্টার পিছনে যে পরিমান সময় ব্যায় করছে,তত টা অন্য কিছুর পিছনে যদি করতো তাহলে মহাকাশ জয় করতে পারতো।সারাজীবন ধরে মেয়েরা তার সতীত্ব বেঁচে খায়।আর এই সতীত্ব বেঁচে খাওয়া মেয়েদের উপর পুরুষেরা বড় খুশি থাকে। আর মেয়েরা এমন বোকা(সবাই না)সেই সকল পুরুষদের আরও খুশি করবার জন্য জীবন ভর ব্যস্ত থাকে।বাংলাদেশের অনেক মেয়েরা তো এখনও বেকার নিজেকে চলানোর ক্ষমতা নেই, পরের উপর চলে।আর এই পরনির্ভর মেয়েরায় সারাদিন সতীত্ব বড়ায় করে বেড়ায়!
আমরা মেয়েরাই মেয়েদের বড় বেশি শত্রু! আমরা মেয়েরাই আরেক টা মেয়েকে উপরে উঠতে দিই না,সারাদিন ধরে এই মেয়েদের নিয়ে জার্জমেন্ট না করে আগে পুরুষ মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি।কারণ তথাকথিত কিছু পুরুষ মানুষ সারাদিন মেয়েদের শরীরে হাত বুলিয়ে দিন শেষে এসে মেয়েরায় খারাপ বলে বেড়ায়।
তাই আজ থেকে হোক আমাদের মনবল বৃদ্ধির দিন, শুধু আমরা কেনও হবোও চরিত্রহীন।পুরুষ তুই কেন নিবি না এই বোজার ঋন।