ছবি: ইন্টারনেট
তোমার ভালবাসার আহবানে আমি কতবার ছুটে গিয়েছি-
পাড়ি দিয়েছি কত বর্ষার ভেজা পথ,
নরম রোদের সর গায়ে মেখে-
পৌষের হাঁড় কাঁপানো শত শীতের বিকেল,
গ্রীষ্মের গনগনে রোদ উপেক্ষায় ফেলে
হেঁটেছি অবিশ্রান্ত হৃদয়;
ভীন গ্রামে তোমাদের বাড়ি,
সেখানে তোমাদের শান বাঁধানো পুকুর ঘাট
পুকুর পাড়ে কিছু নির্জনতা
আর অপেক্ষায় তুমি।
পাড়ার ছেলেরা যখন শীতের ভয়ে নাড়ার উনুনে আগুন জ্বালিয়ে দিত
আমরা তখন মুখোমুখি হতাম হৃদয়ের মানবীয় উষ্ণতায়,
বউচি আর গোল্লাছুটের বোল তুলে ওরা যখন জমিয়ে দিত হল্লা
আমরা তখন বাতাবী নেবুর গন্ধ বুকে
কল্পলোকের দুর আকাশে মেলে দিতাম ডানা।
একঘেয়েমি বৃষ্টি মাথায় পাড়া যখন ঝিমিয়ে যেত
শ্রাবণ দিনের বেলা শেষে,
আমি তখন এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেমিক বেশে
কদম হাতে ঠিক পৌঁছে যেতাম তোমার কাছে-
ঠোঁটের কোণে খুশির পেখম উঠত নেচে
বলতে, ‘বিনিময়ে কি চাও’
পারলে আকাশের মেঘ এনে দাও,
বলতাম আমি নিরব হেসে।
শ্যামল মেয়ে, সেসব তোমার মনে আছে?
বৃষ্টি ভেজা এক বিকেলে বললে ডেকে,
‘জলবতি মেঘ ছুঁতে চাও !
এই নাও আমায় ছুঁয়ে দাও’
তোমার চোখে নেশার নদী- সেদিন হয়েছিলাম বিস্ময় চুপ
দেখেছিলাম ফনীমনসার পাশে ফোঁটা কালো গোলাপের রূপ।
শ্যমল মেয়ে,
এখন আমি মেঘের দেশে জলের কক্ষপথে তোমায় খুঁজি নিরন্তর
জানি জলবতি মেঘের অনুবাদ,
শুধু হারিয়েছি তোমার ঠিকানা,
জানি না কোন বাগানে হচ্ছে এখন কালো গোলাপের আবাদ।
প্রকাশিত : ১৬/০৪/২০১৬
দৈনিক ভোরের কাগজ
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭