জীবন নৌকায় বিষাদের পাল তুলে মাঝি
নিঃসঙ্গ দাঁড় টানে নিরুদ্দেশ,
বালিয়াড়ি জুড়ে কাঁপে তার শীর্ণ ছায়া,
পরিযায়ী পানকৌড়ি ফিরে গেছে; শুধু রেখে
গেছে নোনা জলে জলকেলির ইতিহাস;
একদিন মাঝি,
ভেবেছিল ময়ুরপঙ্খী ভাসাবে ভর দরিয়ায়,
ভালবাসা বুকে খুঁজে নেবে দ্বীপ এক,
এলাচের মৌসুমী সুগন্ধে ভরা।
হাজার রং প্রজাপতি উড়িবে সেথা লবঙ্গের বনে,
রাস পূর্নিমার রাতে কপোত কপোতি নিঃসংকোচ
জাগিবে নক্ষত্রের সুধা পানে-
নীল জলে ভেসে ভেসে রচিবে গান,লিখিবে
অজস্র প্রণয় কাব্য গাংচিলের প্রশস্ত ডানায়;
হায় !
সুনামী হেনেছে আঘাত অফ্রোদিতির ঘুম রাতে;
করুন চোখে দেখেছে স্বপ্নান্ধ মাঝি
নীল জলে ঝড়ের তান্ডব।
যেখানে ভালবাসা ছিল স্বচ্ছ মাছের পিঠে,
সেখানে ঘৃণা এসে জমেছে মাতাল অন্ধকারে;
স্রোতে ভেসে গেছে সব প্রজাপতির লাশ,
মরে গেছে গাঙচিল-
ভালবাসার জোনাকী-
একে একে সব;
বালিয়াড়ির বুকে শুধু পড়ে আছে
কারো রেখে যাওয়া পদচিহ্ন নিথর নিরব;
মাঝির নৌকায় এখন বিষাদ ভর করে
স্যাঁতস্যাঁতে মাস্তুলে,
বিধ্বস্ত এলাচের বনে ডানা ঝাপটায় অচেনা ঈগল,
আর ক্রমশ গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয় নিরেট শূন্যতা।