ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর একাধিকবার এই বিষয়ে কথাও বলেছেন তিনি।
এমনকি গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প। এমন অবস্থায় গ্রিনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স এবার এই আর্কটিক দ্বীপটিতে সেনা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে বলে মঙ্গলবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারোট বলেছেন।
গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগিদ ডেনমার্কের কাছ থেকে তার দেশকে স্বাধীন করার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন।
তবে, তিনিও স্পষ্ট করে বলেছেন যে অঞ্চলটি বিক্রির জন্য নয়। বুধবার তিনি কোপেনহেগেন সফর করেন।
চ্যান্সেলর শলৎজ বলেন, আসন্ন মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্যগুলোয় "কিছুটা ভুল ধারণা" রয়েছে।
"সীমান্তের অখণ্ডতার নীতি - পূর্ব বা পশ্চিম - যে কোনো দেশের জন্য প্রযোজ্য", বলেন তিনি।
জার্মানি, ফ্রান্স ও ডেনমার্ক মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সদস্য।
শলৎজ জোর দিয়ে বলেন, "ন্যাটো আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এবং আটলান্টিক মহাসাগর উপকূলীয় দেশগুলোর সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু।"
এর আগে বুধবার জাঁ-নোয়েল ব্যারো ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে বলেন: "আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করবে কি না, তাহলে আমার উত্তর হবে- না।
"আমরা কি এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে আবারও শক্তিশালীদের টিকে থাকার নিয়ম দেখা দিচ্ছে? তাহলে এর উত্তর হবে- হ্যাঁ।"
"তাহলে কি আমাদের নিজেদেরকে ভয় ও উদ্বেগে কাবু হতে দেয়া উচিত, অবশ্যই না। আমাদের জেগে উঠতে হবে এবং নিজেদের শক্তি গড়ে তুলতে হবে," যোগ করেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক থেকে প্রতিবেদক স্টেফেন ক্রেটজ
ছবির ক্যাপশান,গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক থেকে প্রতিবেদক স্টেফেন ক্রেটজ
জার্মানি ও ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়ন- ইইউ'র প্রধান দুই সদস্য, যাদের প্রায়ই এই জোটের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তবে ইইউ কীভাবে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে তা অনুমান করা বেশ কঠিন। ইইউ'র নিজস্ব কোনো প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেই এবং এর ২৭টি সদস্য দেশের বেশিরভাগই ন্যাটোর অংশ।
২০শে জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেবেন ট্রাম্প।
এর দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক স্বাধীন সংবাদ সম্মেলনে তিনি গ্রিনল্যান্ড নিয়ে এই মন্তব্য করেন।
গ্রিনল্যান্ড বা পানামা খাল দখলের জন্য তিনি সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, "না, আমি আপনাকে এই দুটির কোনোটির বিষয়েই আশ্বস্ত করতে পারছি না।
কিন্তু আমি এটুকু বলতে পারি যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের এগুলো প্রয়োজন।"
অর্থাৎ প্রয়োজন হলে ন্যাটো ছেড়ে যে কোন উপায়ে গ্রিনল্যান্ড পানামা খাল দখল করবে আমেরিকা l এখন ভাবার বিষয়
জার্মানি ও ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়ন- ইইউ'র প্রধান দুই সদস্য, যাদের প্রায়ই এই জোটের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তবে ইইউ কীভাবে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে তা অনুমান করা বেশ কঠিন। ইইউ'র নিজস্ব কোনো প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেই এবং এর ২৭টি সদস্য দেশের বেশিরভাগই ন্যাটোর অংশ। এই বিষয়টি আমেরিকা খুব ভালোভাবে জানে এবং এটিও জানে আমেরিকা ইউরোপ আক্রমন করলে তা প্রতিরোধ করার সক্ষমতা ইউরোপের নেই l এই ক্ষেত্রে পুতিন এগিয়ে আছে সে তো যুদ্ধেই আছে ‼️
এখন যদি পুতিন, ট্রাম্প, সি জিনপিং ইউরোপের মানচিত্র নিয়ে বসে কি হতে পারে ❓ কে কোন অংশ নিতে পারে বলে আপনাদের ধারণা ❓
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৪