যারা নিয়মিত সিএনজিতে চলাচল করেন তারা হয়তো ইতোমধ্যে ব্যাপারটা জানেন বা আক্রান্তও হয়েছেন অনেকে। যারা জানেননা তাদের জন্যই এই পোস্ট।
ঢাকা শহরে যাদের বেশ দূরে কর্মস্থল তাদের জন্য নিঃসন্দেহে সিএনজি হোল সবচেয়ে আরামদায়ক আর নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াতের একটা মাধ্যম। আর সিটি বাসগুলোর বেহাল দশার কারনে সিএনজির কদর আরো বেড়েছে। তাই এই সিএনজিই হোল এখন ছিনতাইয়ের প্রধান টার্গেট। ছিনতাইয়ের কৌশলও অভাবনীয়।
ব্যাপারটা যদি এমন হয়, আপনি সিএনজিতে উঠলেন, সিএনজিতে চলাকালীন আপনার ফোন আসলো, আপনি ফোনে কোথা বলছেন, হঠাৎ আপনার ফোন ছোঁ মেরে নিয়ে গেল, কিন্তু সাইড দরজা থেকে না, সোজা উপর থেকে, সিএনজির উপরের রেক্সিন কেটে, তাও আবার চলন্ত সিএনজি থেকে!!!
সাধারণত সিএনজিতে চলাচলের সময় আপনি রিলাক্সড থাকেন। হঠাৎ এই অত্যন্ত দ্রুততার মধ্যে ছিনতাইয়ের আকস্মিকতায় আপনি বিহব্বল হয়ে পড়বেন। আর এর সুযোগেই ছিনতাইকারী অদৃশ্য হয়ে যাবে আপনার চোখের সামনে থেকে। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
ছিনতাইকারীরা এখানে মূলত টার্গেট করে মোবাইল ফোন এবং গলার সোনার চেইন। হালকা পাতলা মানুষ অথবা বাচ্চাদের দিয়ে এই ছিনতাই করানো হয়। এরা প্রথমে লক্ষ করে যে আপনার কাছে কোন দামি ফোন আছে কিনা অথবা আপনার গলায় চেইন আছে কিনা। টার্গেটের পুরো ব্যাপারটি চলে আপনি যখন ট্রাফিক জ্যামে থাকবেন তখন। আর যখন আপনার সিএনজি চলা শুরু করবে তখন এদের একজন আপনার সিএনজির পিছনে বাইরের পাশে ঝুলতে থাকে এবং সুযোগমত সিএনজির উপরের রেক্সিন কেটে আপনার অসতর্কতার সুযোগে আপনার মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করে চলন্ত সিএনজি থেকেই নেমে পালিয়ে যায়। যদি আপনি ভুলেও ছিনতাই চলাকালীন সময় টের পেয়ে যান, এদের হাতের ব্লেড দিয়ে আপনাকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যাবে। কখনও এমনও হয়েছে, ব্লেড দিয়ে জখম করে, গলার হাঁর অথবা মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়েছে।
সুতরাং সিএনজিতে চলাচলের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন আর সোনার হাঁর খুলে হাত ব্যাগে রাখুন।
(জনস্বার্থে রিপোস্ট)