somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণনাট্যমঞ্চ ও স্বৈরাচারের দালালরা

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের সময়, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এর ফলে, ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের শোষণ ও দমন করতে পেরেছিল, যার অবসান ঘটেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনে বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেলেও, ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যবহারের প্লট তৈরি করে দেওয়া এদের প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি। তবে পরবর্তীতে তাদের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী স্বৈরাচারী অবস্থান চোখে পড়েছে।

শাহবাগ নাট্যমঞ্চের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে সরকারের সাথে সংঘাত হয়, যার ফলে সেই মঞ্চের কর্মীরা পুলিশের ও সরকার দলীয় ছাত্রসংঘটনের হামলার শিকার হন। এ বিষয়ে একটি স্বনামধন্য পত্রিকা ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে একেবারে প্রথম পৃষ্ঠায় সংবাদ প্রকাশ করে।

আসলে, শাহবাগে এই মঞ্চ প্রতিষ্ঠা মহৎ উদ্দ্যেশে হলেও পরবর্তীতে একে প্রতিবেশী দেশের একটি ভূরাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাট্যমঞ্চে রূপান্তরিত করা হয় । মূলত এটি তৎকালীন সরকারের জন্যে নতুন এক গৃহপালিত বিরোধী দল গঠনের উদ্দেশ্যে মঞ্চস্থ হয়েছিল। যদিও এটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে শুরু হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে সেই যুদ্ধাপরাধীদের সাথেই ১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক জোট গঠনের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করে। সরকার ওই মঞ্চ থেকে পরবর্তীতে কিছু কর্মীও পেয়েছিল, যারা এখনও তাদের পক্ষে কাজ করছে। এরা এখন মূলত গুজব সেলের সদস্য হিসেবে যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছে ।

একটি মঞ্চ চালাতে আর্থিক অনুদান আসবে এটা স্বাভাবিক । তবে কার কাছ থেকে আসছে সেই অনুদান তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। বিশেষ করে তাদের উদ্যেশে বুঝতে পারা যায়। এই নাট্যমঞ্চে আর্থিক সহায়তা দেওয়াদের মধ্যে আমাদের দেশের একটি বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকাও ছিলো ছিল, যা স্বৈরাচারের দোসরের ভূমিকা পালন করেছিল। গণমাধ্যমের দায়িত্ব গণতন্ত্র রক্ষা করা হলেও, এই পত্রিকা তা না করে উল্টো স্বৈরাচারকে সমর্থন করেছিল এবং এখনও প্রায়ই এই ভূমিকা পালন করছে

প্রথম আলো ইন্টারভিউ

স্বৈরাচারের গোপন দালালদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, যারা স্বার্থপরের মতো জনগণের সাথে প্রতারণা করে নিরাপদ দূরত্বে থেকে।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তুমি অথবা শরৎকাল

লিখেছেন আজব লিংকন, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:১০


রোদ হাসলে আকাশের নীল হাসে।
গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘ দল ব্যস্ত হয়ে
দূর সীমাহীন দিগন্তে ছুটে।

লিলুয়া বাতাসে তোমার মুখে এসে পড়া চুল আর
ঢেউ খেলানো আঁচলের সাথে—
কাশবনে সব কাশফুল নেচে যায়।
নিভৃতে একজোড়া অপলক... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গঃ স্কুলে ভর্তি.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

প্রসঙ্গঃ স্কুলে ভর্তি.....

সেই ষাট সত্তর দশকের কথা বলছি- আমাদের শিক্ষা জীবনে এক ক্লাস পাস করে উপরের ক্লাসে রেজাল্ট রোল অনার অনুযায়ী অটো ভর্তি করে নেওয়া হতো, বাড়তি কোনো ফিস দিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন্দির দর্শন : ০০২ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি পূজা মন্ডপ ও নাচঘর বা নাট মন্দির

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের জমিদার বাড়িগুলির মধ্যে খুবই সুপরিচিত এবং বেশ বড় একটি জমিদার বাড়ি। পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি সম্পর্কে একটি লেখা আমি পোস্ট করেছিলাম সামুতে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে কলকাতা থেকে রামকৃষ্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদিন সবকিছু হারিয়ে যাবে

লিখেছেন সামিয়া, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



একদিন সবকিছু ফিকে হয়ে যাবে,
সময়ের সাথে হারিয়ে যাবে স্মৃতি।
মনে থাকবে না ঠিক ঠাক কি রকম ছিল
আমাদের আলাদা পথচলা,
হোঁচট খাওয়া।
মনে থাকবে না
কাছে পাওয়ার আকুতি।
যাতনার যে ভার বয়ে বেড়িয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে না'ফেরা অবধি দেশ মিলিটারীর অধীনে থাকবে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯



একমাত্র আওয়ামী লীগ ব্যতিত, বাকী দলগুলো ক্যন্টনমেন্টে জন্মনেয়া, কিংবা মিলিটারী-বান্ধব।

আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ অনেকটা সমর্থক শব্দ ছিলো: বাংলাদেশ ব্যতিত আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই, আওয়ামী লীগ ব্যতিত বাংলাদেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×