২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের সময়, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এর ফলে, ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের শোষণ ও দমন করতে পেরেছিল, যার অবসান ঘটেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনে বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেলেও, ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যবহারের প্লট তৈরি করে দেওয়া এদের প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি। তবে পরবর্তীতে তাদের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী স্বৈরাচারী অবস্থান চোখে পড়েছে।
শাহবাগ নাট্যমঞ্চের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে সরকারের সাথে সংঘাত হয়, যার ফলে সেই মঞ্চের কর্মীরা পুলিশের ও সরকার দলীয় ছাত্রসংঘটনের হামলার শিকার হন। এ বিষয়ে একটি স্বনামধন্য পত্রিকা ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে একেবারে প্রথম পৃষ্ঠায় সংবাদ প্রকাশ করে।
আসলে, শাহবাগে এই মঞ্চ প্রতিষ্ঠা মহৎ উদ্দ্যেশে হলেও পরবর্তীতে একে প্রতিবেশী দেশের একটি ভূরাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাট্যমঞ্চে রূপান্তরিত করা হয় । মূলত এটি তৎকালীন সরকারের জন্যে নতুন এক গৃহপালিত বিরোধী দল গঠনের উদ্দেশ্যে মঞ্চস্থ হয়েছিল। যদিও এটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে শুরু হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে সেই যুদ্ধাপরাধীদের সাথেই ১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক জোট গঠনের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করে। সরকার ওই মঞ্চ থেকে পরবর্তীতে কিছু কর্মীও পেয়েছিল, যারা এখনও তাদের পক্ষে কাজ করছে। এরা এখন মূলত গুজব সেলের সদস্য হিসেবে যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছে ।
একটি মঞ্চ চালাতে আর্থিক অনুদান আসবে এটা স্বাভাবিক । তবে কার কাছ থেকে আসছে সেই অনুদান তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। বিশেষ করে তাদের উদ্যেশে বুঝতে পারা যায়। এই নাট্যমঞ্চে আর্থিক সহায়তা দেওয়াদের মধ্যে আমাদের দেশের একটি বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকাও ছিলো ছিল, যা স্বৈরাচারের দোসরের ভূমিকা পালন করেছিল। গণমাধ্যমের দায়িত্ব গণতন্ত্র রক্ষা করা হলেও, এই পত্রিকা তা না করে উল্টো স্বৈরাচারকে সমর্থন করেছিল এবং এখনও প্রায়ই এই ভূমিকা পালন করছে
প্রথম আলো ইন্টারভিউ
স্বৈরাচারের গোপন দালালদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, যারা স্বার্থপরের মতো জনগণের সাথে প্রতারণা করে নিরাপদ দূরত্বে থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪২