প্রিয় পারমিতা,
পারলে পরের জম্মে বেলা বোস হইয়ো...
আমি না হয় তোমার অঞ্জন হবো, পাড়ার মোড়ের কাচঘেঁষা টেলিফোন বুথটা থেকে অনেক ভিড়েও কয়েন ভাঙ্গিয়ে ডায়েল করে গাইবো বেসুরে গান ।
আমার এগার'শ টাকা মাইনের নীল দেওয়াল ঘেরা সংসারে ভূত হয়ে চেপে বসো...
আমার ন্যাড়া মাথায় গজিয়ে থাকা একমাত্র তেলে ডোবা চুল হইয়ো
বৃষ্টি রাতে, ছিড়া কাথার ফুটা দিয়ে দেখা আধো চাঁদ হইয়ো...
তবু সুনীলের বরুনা হইয়ো না...
বুকে সুগন্ধি রুমাল চেপে ৩৩ বছরের অপেক্ষা, সে আমার সইবে না ।
পারমিতা,
পারলে রেংকিন স্ট্রিটের বাউন্ডুলে সেই আসমা চৌধুরী জয়িতা হইয়ো...
চিলেকোঠার আড়ালে চুমু খেয়ে পালিয়ে যাবার সঙ্গী হইয়ো
রিফিউজি ক্যাম্পের দেয়ালে পা দুলিয়ে বসে থাকা সীমান্তের পাখী হইয়ো
আমার মধ্যবিত্ত স্যাঁতস্যাঁতে জীবনে বারান্দায় ঝোলা হলুদ লুঙ্গি হইয়ো
বর্ষায় আমার ছেড়া রেইন কোটের উপরে আদরের চাদর হইয়ো
তবু সুনীলের বরুনা হইয়ো না...
মরে যেতে রাজি আছি,
কিন্তু ৩৩ বছরের অপেক্ষা, পারবো না।
ইতি,
অবলাকান্ত