চাপা এক দমকা হাওয়ার দীর্ঘশ্বাস রাজপথে...
আনমনা এক ঝরা পাতার ধূসর ঘূর্ণিতে উড়ে উড়ে
স্মৃতির গহীনে নীরব আততায়ী হয়ে খন্ড খন্ড রোদ্দুরের ছবি
টুকরো টুকরো বিভ্রম ছড়ায় নিউরনের কোষে কোষে।
সেই সম্মোহন জালে, সেই বিভ্রম এক অলীক স্বপ্ন বুনে দেয় অকারণ
কেবলই স্বপ্ন, সেই নীলাভ ফিকে আকাশ বড্ড বর্ণ বিদ্বেষী
চেনে না রঙের বিন্যাস, বোঝে না শ্বেত আর সবুজের ব্যবধান,
বোঝে না রক-এন-রোল আর একতারার দূরত্ব, সে আততায়ী!
আকাশের ওপাড়ে মেঘেদের সুদূর চলাচলে অসীম যে সম্ভাবনা,
দূরাগত ধ্বনির মত, অখন্ড সময়-কালের ভেদরেখা ডিঙ্গিয়ে
অলীক এক স্বদেশ, এক বিবর্ণ সম্মোহন সঙ্গীত, এক অর্থহীন চাওয়া
অন্য এক জীবনের গল্প, এপাড় থেকে ওপাড়ের স্তুতি কেবলই।
অথচ ধবল তুষারের আর্তনাদ, এ শহরের কংক্রিট ধাতব অসুখ,
বয়ে চলে নিরবধি, খামচে থাকে মেধা, মনন, প্রেম, সুন্দর, আকাংখা,
বস্তুবাদী বেহায়া চোখ গ্রাস করে সব, চাপা সেই দমকা দীর্ঘশ্বাস
সে শহর পেরিয়ে, সাত সমুদ্র তের নদীর ওপাড় থেকে আছড়ে পড়ে!
একুল সেকুল ভেঙ্গে দিয়ে আনমনা সেই অসভ্য ঝরা পাতার স্মৃতি
ধূসর ঘূর্ণিতে উড়ে উড়ে, স্মৃতির গহীনে নীরব ঘাতক হয়ে খন্ড খন্ড
রোদ্দুরের ছবি, টুকরো টুকরো বিভ্রম, নিউরনের কোষে কোষে
এক নিদারুণ মূর্ছনা তুলে হঠাৎ দাঁড় করিয়ে দেয়
নিজের বিপরিতে নিজেকেই!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৯