বাংলাদেশের গলাচেপে ধরার স্বাদ জেগেছে?
ট্রিগার ঠেকিয়ে বলছো সবকিছু মেনে নাও!
আমার পূর্বপুরুষ এরশাদ মানেনি
আমার পূর্বপুরুষ বাকশাল মানেনি
আমার পূর্বপুরুষ হানাদার মানেনি।
তুমিই আমাকে মৃত্যু ভয় দেখাও?
পরোয়া করি না পলিবাহিত বদ্বীপে।
আমার লাশ গুণতে থাকো বলছি!
আমার পূর্বপুরুষ আর্য মানেনি
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে বলেছিলো পবিত্র হও,
আমরা জ্বলে-পুড়ে হয়েছি বাংলাদেশ।
আমাদের রক্তে ফেনীল সমুদ্র বহে!
পাতাকার জন্যে মা-বোন দিয়েছে সম্ভ্রম,
ফুলের গায়ে পড়েছে আঁচড়,
লাখো শহীদ হেসে হেসে দিয়েছে প্রাণ,
দাবানলে দেশ বলেছে একটি ফুলকে বাঁচাতে হবে।
আমরা লড়াই করেছি গ্রামের পর গ্রাম,
জ্বলেছি পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পাড়ে।
কাঁঠাল খেয়ে খেয়ে যুদ্ধে হয়েছি আগুন লালা,
তীব্র স্ফুলিঙ্গে বারুদের নেশায় হয়েছি মাতাল,
একমুঠো ভাতের জন্যে বুক ফেটে গেছে ছাই,
খেয়েছি লতাপাতা-কচু-ঘেচু আর কাঁঠালের বিচি,
আমার রক্তাক্ত পায়ের নহরে স্বাধীনতা দিয়েছে চুমু,
তুমি আমাকে ট্রিগার ঠেকিয়ে বলছো মেনে নাও!
আমার পূর্বপুরুষ ব্রিটিশ মানেনি লড়াইয়ের পর লড়াই
করেছে, দিয়েছে জীবন তিতুমীর আর বঞ্চিত জনতা,
শিশুর জন্যে কেড়ে এনেছি মায়ের ভাষা, রক্তাক্ত
মায়ের শিশুরা বলেছে বাংলাদেশটা আমাদের হও!
বায়ান্নের বেদিমূলে শপথ নিয়েছি বিজয়ের।
তুমি ট্রিগার ঠেকিয়ে বলছো সবকিছু মেনে নাও,
এ পরিহাস কে দিয়েছে তোমাকে কে দিয়েছে সাহস?
চব্বিশের রক্তের ইতিহাস মাড়িয়ে নিয়েছি শপথ,
তোমার ধ্বংস হোক তোমাদের ধ্বংস হোক স্বৈরাচার।
বাংলাদেশময় ফুল ফুটুক বসন্তের মহাসমারোহে বসন্ত আসবেই।
উৎসর্গঃ সকল শহীদ সাধারণ শিক্ষার্থী
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৫৩