নতুন পাগলদের আত্মপ্রকাশ ঘটছে !
এরা পৃথিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ দেখা গেলে সব দেশের মুসলিমকে একসাথে ঈদ উদযাপন করার যুক্তি দেখাচ্ছে !!
"চাঁদ দেখে রমজান মাসে রোজা শুরু এবং চাঁদ দেখে রমজান মাসের রোজা শেষ" করার যে নির্দেশনা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিয়ে গিয়েছেন; ওরা এর ভুল ব্যাখ্যা করছে।
নতুন চাঁদের দৃশ্যমানতা ; শুধুই চাঁদের একার বিষয় নয়। এতে সূর্য ও পৃথিবীর প্রভাবও বিদ্যমান। পৃথিবী থেকে চাঁদের কাছের ও দূরের দূরত্ব (perigee & apogee), চাঁদের ঘূর্ণন কাল, সিনোডিক কাল, মিন অরবিট ভেলোসিটি, প্রতিদিন পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ১২-১৩ ডিগ্রী সামনে সরে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রদক্ষিণ ইত্যাদি অনেক বিষয়; এছাড়া সূর্য, চাঁদ ও প্রাকৃত দিগন্তের গানিতিক প্রভাব, বক্রাকার চাঁদের পৃষ্ঠদেশে পড়া আলোর প্রশস্থতা ও ঔজ্জ্বল্যতা, পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে সূর্যের অলোর বিক্ষিপ্ততার কারনে- দেশে দেশে নতুন চাঁদের দৃশ্যমানতা আগে ও পরে ঘটে। তাইতো পশ্চিমের দেশগুলো পূর্বের দেশগুলোর চেয়ে আগে চন্দ্রোদয় দেখতে পায়। তবে চাঁদের এমন পরিভ্রমনের সময় ১ দিনের বেশী কোথাও ঘটে না। দেশে দেশে চাঁদের আগে ও পরে উদয়ে শুধু মানুষের নয়; প্রকৃতিতেও ঘটে নানা পরিবর্তন। যা উদ্ভিদ সহ সমূদ্রের মাছদেরও প্রভাবিত করে।
নিঃসন্দেহে চান্দ্র মাস ও চাঁদ মুসলিম জাহানের জন্য এক পরম বৈজ্ঞানিক শিক্ষা এবং এর ভিত্তিতে পালিত তাদের ধর্মীয় ইবাদত / অনুষ্ঠান পৃথিবীকে সুমহান বৈচিত্র্যময় এক ইসলামী সাংস্কৃতি উপহার দিয়েছে। চন্দ্রোদয়ের এ হেরফের, মহান আল্লাহ'র পক্ষ থেকে বান্দাদের প্রতি তার সত্বার এক সুস্পষ্ট নিদর্শন।
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পৃথিবীময় একদিন আগে-পরে ঘটা; এটি অবশ্যই এক অনন্য বিষয়।
যারা চাচ্ছে মুসলমানদের ঈদ ও অন্য সব অনুষ্ঠান একই দিনে একই সাথে করতে; তারা কী প্রকৃতিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম!! তারা কেন সমগ্র পৃথিবী থেকে একই দিনে, একই সময়ে চাঁদের উদয় ঘটায় না ??!! এ কি প্রকৃতিবাদীদের পক্ষে সম্ভব!!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৮