পাঠাও বাংলাদেশের জনপ্রিয় এক যাত্রীসেবার নাম। এই সেবার মাধ্যমে সহজে কর্মজীবী মানুষসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কম সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে সক্ষম। নিঃসন্দেহ এই সেবা মানুষের জন্য একটি আর্শিবাদ বটে যদি কিছু সমস্যা বা বিড়ম্বনা আছে। সেইদিকে না হয় নাই গেলাম। প্রত্যেক সেবারই নেগেটিভ বিষয় আছে। আমি নেগেটিভ-পজেটিভ বিষয়ে কথা আজ লিখবোনা। এবার আশি মূল আলোচনায়।
পাঠাও সেবা শুরুর দিকে শুধু পুরুষরাই এই সেবা গ্রহন করতো। মাত্র বছর দুয়েকের শেষে অর্থাৎ বর্তমান সময়ে এই সেবা এখন নারী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী সহ অনেক গৃহিণীরাও দ্রুত গন্তব্যে পৌছাতে পাঠাও বাইকের সেবা নিচ্ছে।
নারীরাও সেবা ভোগ করবে এটা তাদের অধিকার আছে কিন্তু একজন পর পুরুষের পিছনে উঠে নিজের শরীর বাইকারের দেহের সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে অবলীলায়। ৮৫+% ইসলাম ও মুসলিম দেশে এমনভাবে চলাফেরা করা নৈতিকতা কোন পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতিতে নারীরা স্বাধীনতার নামে অতিরঞ্জিত করে নিজেদেরকে বিকিয়ে দিচ্ছেনাতো! এসব দেখে আমাদের প্রজন্ম এবং পরবর্তী প্রজন্ম কি শিক্ষা নিবে?
কোন পথে চলছে একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতার ধারক ও বাহকরা!! আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুব সংকিত।
একটা ঘটনা শেয়ার করি, গত কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধুর মোটরবাইকের পার্টসের দোকানে বসেছিলাম। সময়টা ছিলো রাত আটটার দিকে। বন্ধুর পূর্বপরিচিত এক কাষ্টমার আসলেন। বয়স প্রায় ৩৫। উনি পাঠাও এর সেবা দেন। উনি নিজেমুখে পাঠাও এর মাধ্যমে এক মহিলা চাকরিজীবির গভীর প্রেমের উপন্যাস উথ্যাপন করলেন। যা শুনতে হয়েছিল নিরবে। এছাড়া আমি নিজেও অনেক দেখেছি অনেক মেয়ে পাঠাও এর সেবা গ্রহন করতে। একটা উদাহরণ থেকে বুঝা যায় যে, পাঠাও এর রাইডার এবং মহিলা যাত্রীদের নৈতিক অবস্থান কোথাই??!
আল্লার রাসূল সাঃ এর হাদিসঃ যখন কোন বেগানা নারী ও পুরুষ একত্রে অবস্থান করে তখন সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি শয়তান অবস্থান করে।
এমতা অবস্থা থেকে বাবা, মা, ভাই এবং স্বামীদেরকেই মুক্তির পথে বের করতে হবে। যাতয়াতের বিকল্প পথ বের করতে হবে, নইতোবা বেশি সময় নিয়ে যাত্রায় বের হতে হবে। সবচেয়ে বড়কথা নৈতিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এর বিকল্প সতিত্ব এবং নৈতিকতা রক্ষার কোন পথ নেই।