তাবলীগ জামায়াতের এক থানা আমীরসহ অনেক চিল্লা সাথিদের সাথে অনেক বাহাজ হয়েছে বল্বোনা তবে লজিকেলি অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে আমার। তাদের বাহ্যিক আহবানে সরলতা দৃশ্যমান হলেও অন্তর্গত জটিলতা বিস্তর! তাদের ছয় উসুলি কিতাবের বাইরে অন্য কিতাব পাঠ করা তারা ব্যপাক ভাবে নিরুৎসাহিত করে।
ইদানিং কিছুটা প্রযুক্তি নির্ভর হলেও একসময় মাইকে আজান দিতেও তারা কট্টর ভাবে নিষেধ করত!
মাইক না ব্যবহার করায় একদল রুকুতে তো একদল সিজদায় আরেকদল দাড়িয়ে এক হিজিবিজি অবস্থায় নামাজ আদায় করেছে এক সময় তারা। এখন সময়ের সাথে তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিতের ঘোষণা দেওয়া বেদায়াত নতুন করে শুরু ক্রেছে তারা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে।
তাদের ছয় উসুলি সর্বজন গ্রাহ্য কোন কিতাব নয়। এ নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। এমনকি কোরআন সরাসরি পড়ার দরকার নেই বলেও যখন মত দিল-এই যুক্তিতে সবাই বুঝবে না। তাই তাদের নীল কিতাব পড়লেই হবে!
ধর্মীয় সহজতা আর সরলতার উপর পূজি করে তারা সাধারণ মানুষকে সহজেই আকৃৃষ্ট করছে। কিন্তু তাদের অভ্যন্তরিন সম-সাময়িক বিরোধের কথা বাদ দিলেও চলমান বিশ্ব সময়ানুপাতে তাদের চেতনা খুবই পশ্চাদপদ এবং অগ্রহণযোগ্য।
মানবিকতা, মৌলিকতা, সহজ, সরল জীবনবোধের বদলে তা পর্দা সহ নানা ইস্যুতে এক কাট্টা গোড়া সমাজ তৈরী করছে।
তারা কোরআন হাদীস ইজমা কিয়াস সব বাদ দিয়ে ছয় উসুলির ফাঁদে আটকে গ্যাছে।
শুধু তাই নয়, তারা এও বলে যে, তাবলীগ নাকি রাসূল নিজে চালু করে গেছেন। আমি মানি আল্লাহর রাসুল তাব্লীগের কাজ করেছেন কিন্তু পরিবার বাদ দিয়েতো কোনদিন চিল্লা দেননি বা মাসের পর মাস মসজিদে পড়ে থাকেননি। বর্তমান তাবলীগ যা করছে তা বৈরাগ্যবাদী জাহিলিয়াতের কাজ করে যাচ্ছেন।
আশার কথা হচ্ছে তারা মানুষকে নামাজের দাওয়াত দিচ্ছেন, ঈমান ও আমলের দিকে আহ্বান করছেন যা দ্বীনের খেদ্মত হচ্ছে নিঃসন্দেহ । তবে তাদের দ্বারা দ্বীন কায়েম করা সম্ভব না।
দ্বীন কায়েমের পথে ভালো মানুষ দরকার আছে, ভালো মানুষ তৈরি করে যাচ্ছে তাবলীগ, এর জন্য তাদের বিরোধী করা শরিয়ত সমর্থন করেনা। আসুন তাবলীগ তথা দাওয়াতী তাবলীগদেরকে সহযোগীতা করি। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দিন। (আমীন)।।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪