গদী রক্ষার জন্য শেখ হাসিনাকে ভারত যেতে হবে না, উনি গদী ছাড়ার কথা বললে, কিংবা উহার গদী হারানোর সম্ভাবনা দেখা দিলে, উনাকে গদীতে রাখার জন্য আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ভারতীয়রা সুদাসদনের সামনে লাইন ধরে দুর্বাঘাসে বসে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকার জন্য অনুরোধ করতে; কারণ, ওরা জানে, শেখ হাসিনা সরলে কিসব পদার্থ শুন্যস্হান পুর্ণ করবে।
শেখ হাসিনা-বিরোধীরা এবারের ভিজিটকে 'গদী রক্ষার' ভিজিট বলছেন, ইহা অবশ্যই ভুল ধারণা; মানুষের এই ধরণের ভুল-ধারণাপুর্ণ রাজনৈতিক ধারণা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনকে সহজ করে দিয়েছে, তিনি বিরোধীদলের এই ধরণের রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে সন্মান করে আসছেন।
কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির যেই অবস্হা ইহাতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ অনিশ্চয়তার মাঝে আছে, সরকারের আয় কমে গেছে, সরকারকে রিজার্ভে (হার্ড-কারেন্সী ) হাত দিতে হচ্ছে, যা উনার সরকারের জন্য বিপদজনক; তিনি শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের অবস্হা দেখছেন; তিনি দরকারী পরিমাণ জ্বালানী পাবেন কিনা ও দরকারী পরিমাণ ঋণ পাবেন কিনা, সেগুলো নিয়ে ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন।
বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্হায়, বাংলাদেশে নতুন কোন বিনিয়োগকারী নেই; কিন্তু ভারতে অনেক বিয়োগকারী আছে, ভারতে আধা-সরকারী বিনিয়োগের ব্যবস্হাও আছে, যা বাংলাদেশের নেই, তিনি সেই পথ খুঁজতে গেছেন; উনাকে কমপক্ষে আরো কিছু বছর বাংলাদেশ চালাতে হবে, উনি জানেন যে, গদি ঈদের পর চলে যাবে না, উনাকেই থাকটে হবে ও দেশকে কমপক্ষে চালু অবস্হায় রাখতে হবে, ইহাকে শ্রীলংকা হতে দেয়া যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫