বাসর সাজাইতে কত দেরি আঙ্গুরী?
আজো তোমার বাবা প্রেম বুঝে না, আছেন রেগে,
দেখা মাত্রই দৌড়ায় একশো মাইল বেগে।
আমিও দৌড়াই পায়ের চপ্পল খুলে
তুমি তাকাইলেই, আমি সব যাই ভুলে,
অন্ধকার ঘরে জাগে শূন্যতা ঘেরি,
বিড়াল মারিতে কত দেরি আঙ্গুরী।
বাসর সাজাইতে কত দেরি আঙ্গুরী।।
দীঘল রাতের শ্রান্ত সফর শেষে।
আজো ঘুমাইতে হয় কোল বালিশ ঘেষে।
এ কি স্বপ্ন নিয়া খেলিলো তোমার বাপ?
তোলে মর্সিয়া ব্যাথিত দিলে বাড়িলো নিন্মচাপ।
অস্ফুট হয়ে ক্রমে ডূবে যায় জীবনের তরী,
তুমি তাকাইলেই, আমি সব যাই ভুলে,
সম্মুখে তোমার পাষান বাপ আমার দুই কান ধরি।
বাসর সাজাইতে কত দেরি আঙ্গুরী।
রাত্রিতে বসে আলাপন টেলিফোনে,
বুঝিনি তোমার বাপ আড়ি পেতে সব শোনে।
বুঝিনি নালিশ করিবে আমার পিতাকে দেখে,
আহা পেরেশান! এই ছিলো তকদিরে,
নিরাশার ছবি এঁকে, তুমিও যাইবে বেঁকে।
তোমার বাড়ির দেয়াল টপকে, কার্নিশ ঘুরি
কত বার পা ভেঙ্গেছিনু ধপাশ করিয়া পরি।
তোমার অসভ্য কুকুরও চিবায়েছে আমার ইজ্জতের মুড়ি।
তুমি তাকাইলেই, আমি সব যাই ভুলে,
একাকী রাতে ভাঙ্গা পায়ের বেদনায় জুলমাত হেরি!
বাসর সাজাইতে কত দেরি আঙ্গুরী?
শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,
তোমার বাপ ছিলো ভিলেন চরিত্রের মুলে।
তাহারি ভুলে, অন্যের ঘরে সুখের আশায় বসি,
দেখেছে সুফিয়া অস্তের আগে কিনিয়াছি মোটা রশি।
গলায় বাঁধিয়া, ধুলায় লুটিয়া পড়ি,
দেখিয়া পুলিশ থানায় লইলো ধরি।
চোর ডাকাতের দল মাঝে ওঠায়েছি আহাজারি,
ক্ষনে ক্ষনে পাই ক্রন্দনধ্বনি নিতম্বে পড়িছে বাড়ি।
ও কি বাতাসের হাহাকার-
ও কি রোনাজারি ব্যর্থ প্রেমিকের।
ও কি ঠোলার গর্জন, ও কি বেদনা মজনুর,
ও কি ছ্যাকা খাইয়া পাজরায় বাজে মৃত্যুর জয়ভেরী।।
আঙ্গুরী!
সুখে থাকো তুমি কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকটি হেরি,
আর আমি বন্দি কারাগারে বেদনার বাঁশর গড়ি।
দেখ চেয়ে দেখ বাসর সাজাইতে কত দেরি, কত দেরি।।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:২১