আকাশ ছিল কর্দমাক্ত ছিলনা চাঁদের বুড়ি,
মাঝ নদীতে ঘর বেঁধেছিনু কে করিলো হায় চুরি?

প্রেমের নৌকা সাজিয়ে ছিলেম কতনা রঙ্গিন ফুলে,
মরুর বুকে কুপ খুড়িয়াছি তার তৃষ্ণা মিটাইবো বলে।

তোমার জন্য দিন কে রাত্রি রাত্রিকে করি ভোর,
তোমায় লইয়া কাব্য রচি আর তুমি বলো গাজাখোর।

বড় বড় কবির গাজাখুড়ি লাইন এনেছে তাদের যশ,
তাদের কাব্য ভাবায় তোমায় আমি লিখিলেই দোষ।

রচিবোনা আর কাব্য কখনো যতই আসুক ভাব,
সারারাত শুনিয়া কাব্য, বলিলে- সীতা যেন কার বাপ?

যেই কাব্য লিখেছিলেম আমি নোবেল পাইবার আশে,
উহা পড়িয়া এখন নাকি বাচ্চারাও হাসে।

কবি বলিয়া ডাকিবে সবে সাধ ছিল কত মনে,
অথচ তুমি কবিতা ছাড়িয়া চলে যেতে বলো বনে।

নিজের কাব্য আবৃতি করি বিকেলের এক ফাকে,
কাকগুলো সব ঘিরে রেখে শুধু কা-কা করে ডাকে।

তুমি না বুঝিলেও আমার কাব্য বুঝে ঠিক পশু-পাখি,
এই বেলা পরে কবি হতে মোর একটি প্রহর বাকি।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:১৮