আমার একটি লাইব্রেরী থাকবে আর আমার পছন্দের লেখকদের বই দিয়ে তা সাজানো থাকবে, আমি সারা দিন সেই লাইব্রেরীতে বসে বসে বই পড়বো! ছোটকাল থেকে আমার এই স্বপ্ন ছিলো। আমার সেই স্বপ্ন আজ হাতে ধরা দিয়েছে।
আমাদের অনেক দিনের চেষ্টা এবং শ্রম সফল হয়েছে। আমরা সিলেটের শিশু-কিশোরদের জন্যে বিশেষায়িত একটি পাঠাগার খুলতে পেরেছি যা সিলেটের মধ্যে প্রথম। প্রথম হতে পারাটা সব সময়ই আনন্দের! আমরা এই ক্ষেত্রে সিলেটে ১ম হতে পেরে খুবই আনন্দিত।
কবি শেখ সাদী বলেছেন, বই হচ্ছে পকেটে লুকিয়ে রাখা বাগানের মতো। বাগান যেমন হাজারো ফুলের জন্ম দেয় আমাদের এই পাঠাগারটি যেন সিলেটের ফুলের মতো লক্ষ লক্ষ শিশুকে স্থান দিতে পারে সেই চেষ্টাটাই আমরা করছি। আমাদের পাঠাগারে শিশুদের উজ্জ্বল চোখে ঘুরে বেড়ানোটা সত্যিই দারুণ এক অভিজ্ঞতা!
আমার সবচেয়ে বেশি খুশি লাগছে এই জন্যে যে, আমি আমার মায়ের নামে এই পাঠাগারটি খুলতে পেরেছি। আমাদের দেশে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় মৃত ব্যক্তিদের নামে। আমি এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি যাতে আমার আম্মা জীবিত কালেই উনার নামে করা লাইব্রেরীটি দেখে যেতে পারেন।
আমাদের পাঠাগারে ১৪টি বিষয়ের উপর প্রায় ১০০০ বই রয়েছে। বইয়ের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। স্বপ্নপুরী পাঠাগারে যেসব বিষয়ের উপর বই আছে, সেগুলো হচ্ছে - ১/ভুত সমগ্র, ২/রুপকথা, ৩/ধর্মীয়, ৪/রহস্য, ৫/ইতিহাস, ৬/জীবনী, ৭/ছড়া, ৮/ ধাঁধা, ৯/কৌতুক, ১০/গণিত, ১১/মহাকাশ, ১২/বিজ্ঞান, ১৩/ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, এবং ১৪/গোয়েন্দা।
আমি আশা করি, সিলেটের শিশু-কিশোরদের জন্যে ১ম এই পাঠাগারটি সিলেট সীমানা ছাড়িয়ে অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়বে!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:২৫