জন্মদিন উদযাপন কখনোই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। যতদূর জানি এতদিন অবধি ঘটা করে কখনো পালন করিনি, কেননা ছোটবেলা থেকেই মাথায় ছিলো এটা খ্রিস্টানীয় উৎসব।তাই আর হয়ে ওঠেনি।সতেরো তে আমার খুব শখ হয়েছিল!
নতুন-নতুন কলেজ, বন্ধু-বান্ধবীদের এত ঘটা করে জন্মদিন, এতএত সারপ্রাইজ যেন আমার আর তর সইছিলোনা।তখন ক্লাসে একটু বেশিই মজা করতাম। হঠাৎ করে একদিন একটা ৪পাউন্ড মত কেক নিয়ে গিয়ে কয়েকজনকে বললাম আজকেনা আমার জন্মদিন, কেকটা সাইকেল এর ওপরে রাখা আছে। সেদিন না কেউ বিশ্বাসই করেনি ভেবেছিল হয়তো অন্যকোন জিনিস রেখে মজা নিচ্ছি। হঠাৎ স্যার চলে আসায় কেকটা ধামাচাপা গেল। একজন ফোনে বলল জয় বাইক একসিডেন্ট করেছে,কেউ বলল মারা গেছে। বন্ধুর মৃত্যু সংবাদ মনের সব রং কেরে নিল।সাইকেলের পেছনে কেক নিয়েই চলে গেলাম জয়দের বাড়িতে।রাজশাহী মেডিকেল থেকে লাশ আনা হল।পরদিন জানাজা। রাতের দিকে কেকটা বের করে এক বড় ভাইয়ের দোকানের কয়েকজনের সাথে নামমাত্র কেকটা কাটলাম।কেক আর কতটুকু খাওয়া যায়,বাকিটা রাস্তায় ফেলে দিলাম। সেই থেকে আর জন্মদিন পালনের দুঃসাহস হয়নি। এই ২০তম জন্মদিনও তাই খুব একটা আশা যোগায়নি মনে। ২০০০+ ফেসবুক বন্ধু আমার! একটা টেক্সটও পাইনি, আমিতো আর রেস্টুরেন্টের পিজ্জা-বার্গার,কাবাব-গ্রিল খাওয়াচ্ছি না!(এ কটার নামই জানতাম,ঐযে গরিব দু'বেলা ভাত খাই)
রাত বারোটায় মা আর ছোট বোন শুভেচ্ছা জানিয়ে ঘুমিয়েছে, বাবা এসবে লজ্জা পায়।দিনের শেষ বেলায় খালাত ভাই এবং ছোট খালা শুভকামনা জানালেন। এর বাইরে আর কারো কাছে কিছু আশা করছিনা। একজনকে ভালবাসতাম-বাসি! সে হয়ত এখন আর চেনেই না,নিজেকে নিয়েই ভীষণ ব্যস্ত;এত সময় কই?
I am lost in your love, now you get lost..
আর আমিও রাত শেষ হয়ে ফজরের আজান দিচ্ছে আর নোটপ্যাডে লিখছি, এইতো বেশ আছি,মাস পার হলে টাকা পাচ্ছি, ঢাকা শহরে ঘুরছি।
☕জীবনে সুখী হতে আর কি লাগে!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭