গৃহস্থালি কাজে আম্মারে সহযোগিতা করতেন একজন। তিনি আম্মারে আপা ডাকতেন আর আমরা তারে খালাম্মা ডাকতাম। নাসরিন খালাম্মা। ছোটবেলায় খালাম্মা যত্ন করতেন আমাদের। ছেলের মুসলমানিতে বাড়িতে নিয়ে দাওয়াত করেও খাইয়েছিলেন। একদিন শুনি নাসরিন খালাম্মা বিদেশ চলে গেছেন কাজ করার জন্যে। সৌদি আরব না কোথায় যেন। সেখানে অনেক বছর কাজ করে আবার দেশে ফিরে এসেছেন। কখনো রাস্তায় দেখা হইলে তিনি আগের মতই শাসন করে বলেন, "চুল গুলা কাইট্যা লাইও বাজান। অত বড় হইছে। আর তেল দিয়া একটু আঁচড়াইও।" তার অনুযোগ শুনে আমি মুচকি হেসে বলি, আইচ্ছা খালাম্মা।
সেদিন রাহিম, রাব্বি আর রিহানরে নিয়ে সোনাই নদীর পাড়ে ঘুরতে গেছি, দেখি একটা ছনের গাদার পাশে খালাম্মা বসে আছেন। নদীর ওই পাড়ে তার বাড়ি। জিজ্ঞাস করলাম, খালাম্মা কেমন আছেন? আঠার বছর আগের মতই কালো চেহারায় ধবধবে সাদা দাঁতগুলো বের করে হাসতে হাসতে জানালেন ভাল আছেন। আমরা ভাল আছি কিনা, কবে বাড়ি এসেছি, আর কতদিন থাকবো এসব একেএকে তারপর জানতে চেয়েছেন।
রোমা সিনেমাতে ক্লিও হাউজমেট। একটি মিডল ক্লাস পরিবারে থাকে। সত্তর দশকে ম্যাক্সিকোর রোমা শহরে উচ্ছৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিবেশের মাঝে সেই পরিবারের ছেলেমেয়েদের জীবন যাপন আর বিভিন্ন পারিবারিক আচরণ, ক্লিওর গোপন লাভ লাইফ, নিজের অজান্তে গর্ভ ধারণ, সন্তান জন্মদানের ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভীষণ ভাবে দর্শককে মোহাচ্ছন্ন করে। তার সাথে আলফনসোর গল্প বলার ধরণ, দৃশ্যধারণ, স্লো মোশন, কালার, বাস্তব চিত্র সব মিলিয়ে একটা অসাধারণ আড়াই ঘন্টা কেটেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪০