হিরো আলমের নির্বাচনে দাঁড়ানোর খবর রাজনীতির এই সময়ে আপাতত ইম্পোর্টেন্ট কিছু না। সংবিধান অনুসারে যে কোন নাগরিক নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। তবে তারে নিয়ে উত্থিত বিভিন্ন আলাপ আলোচনা অবশ্যই ইম্পোর্টেন্ট। মিডিয়াতে তার প্রবেশ এবং অবস্থান সব সময় ভাঁড় হিসেবে হলেও পাতলা দেহের লিকলিকে, কালো, নিজের মাতৃভূমি বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা আলম একটা পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আলমের ভিডিওতে দেখবেন সে নিজেকে কখনো দূর্বল ভাবছে না। উল্টো কমার্শিয়াল সিনেমার নায়ক শাকিব, বাপ্পি, সাইমন, জায়েদদের মতই এটিচুড তার। তার পাঁচশ খানেক মিউজিক ভিডিও অথবা শ'খানেক সিনেমাতে কোন রেসিজম নাই, কোন ঘৃণা নাই। নিজেকে সুপার হিরো হিসেবে দেখানোর প্রয়াস আছে, হয়ত ভায়োলেন্স আছে তবে সেটি ফান মেটেরিয়াল। তার বক্তব্যে দেখলাম সরলতা আর স্পষ্টতাও আছে। নিজের অতীত সম্পর্কে তার কোন লুকোছাপ নাই। বরং নিজের ভিওয়ার্সদের ব্যাপারে তার ভরসা আছে। তার ধারণা ধীরে ধীরে তার ভিওয়ার্সরা তাকে ভালবেসে ফেলছে।
কেউ ফান পছন্দ করেন, কেউ করেন না। তবে কাউকে তাচ্ছিল্য আর ঘৃণা করার কোন সুযোগ নেই। হিরো যদি মনে করেন নির্বাচনে দাঁড়ালে তিনি জয়ী হবেন অথবা তিনি জয়ী হয়েও যান সেটি তার এলাকার ভোটারদের ব্যাপার। এতে হতাশ কিংবা বিরক্ত হবারও কিছু নেই। যে কেউ জনপ্রতিনিধি হইতে পারেন। সম্ভাবনার ব্যাপার হচ্ছে আপনি যদি হিরো আলমের কন্টেন্টকে হাস্যকর, সস্তা বিনোদন মনে করেন তবে সেই সস্তা বিনোদনও এই যে মিডিয়াতে আছে এইটা ভাল। মিডিয়া থাকবে টোটাল লিবারেল। এইখানে রবীঠাকুরের কালচার, হুমায়ূনীয় কালচার, ফারুকি ভাই বেরাদার কালচার, হিন্দী কালচার, ইংরাজি কালচার, হিরো আলমের কালচার সহ আরো আরো শত শত কালচার থাকুক। যারা কেবল নিজের পছন্দ মত গুটি কয়েক কালচার নিয়ে মিডিয়া সাজাইতে চায় তারা বাজে কট্টর লোক । তাদের মত নিজেও ঘৃণাজীবী কট্টর না হইলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩