ছেলে বেলা মজার খেলা
খেলে ছিলাম কত,
সেদিক পানে ফিরলে মনে
পড়ে অবিরত।
দুরন্ত মন কোন বাঁধন
মানত কি আর হায়,
বাবার শাসন কড়া বাঁধন
এছাড়া কি ভয়।
ছিলাম বাড়ি দিলাম পাড়ি
ষোল শ ফুট নদী,
রাখাল ছেলে যায়নি ফেলে
পাড় হওয়া অবধি।
নদী গহিন ভেলা বিহীন
ছিল ভাটির টান,
কুলকুলে ঢেউ মাল্লারা কেউ
নেয়নি অবস্থান।
রাখাল সাথে বিশখালীতে
দিলাম পাড়ি বেশ,
পাড়ির জীবন ওটাই প্রথম
ওটাই ছিল শেষ।
সকাল সাঁঝে খেলার মাঝে
থাকতাম বিভোর,
পড়ার ঘরে সময় ঝরে
পড়ায় ছিলাম চোর।
কখনো বা আসলে বাবা
পড়ার ঘরে মোর,
গুন গুনিয়ে মিন মিনিয়ে
চলতো পড়ার তোড়।
চলে গেলে ঘুমের কোলে
টেবিলে ঠেস দিয়ে,
নয়তো ফাঁকি আঁকিবুঁকি
সময় যাক পেরিয়ে।
বৃষ্টি খরায় সময় গড়ায়
খেলা ধুলার মাঝে,
খেলাই যেন বন্ধু হেন
লাগবে সকল কাজে।
দৌড়ে আমায় ছোঁয়া কে পায়
সবার আগে পাড়ি,
যেথায় যেতাম প্রথম হতাম
এ গাঁও ও গাঁও ছাড়ি।
রুহুল নামে আমার গ্রামে
জেলায় প্রথম হল,
পাল্লা দিতে আমার সাথে
সেও হেরে গেল।
বল হা-ডু-ডু দাবা লুডু
আরও কত খেলা,
বরষা কালে কোলায় খালে
ভাসতো কলার ভেলা।
বাবার প্রহার খেয়েও আবার
অগোচরে খেলে,
মায়ের সাফাই দিত রেহাই
জ্বলা বেগুন তেলে।
মাইল পেরিয়ে হিন্দু গায়ে
একদা কৃত্তন,
যাবো সেথা বলতে কথা
সাহস নেই এমন।
হলে জানা রোধ হবেনা
সাস্তি কিছুতেই,
দুরন্ত মন তবু গমন
করবে সেখানেই।
নিশি গড়ায় গভীরতায়
ঘুমায় বাবা – মা,
আঁধার ভীতি চলার গতি
রুখতে পারল না।
কিয়দ্দূরে পথের ধারে
ঘন পাটি বন,
আগের দিনে ছিল বনে
বাঘের অবস্থান।
গরু টেনে নিত বনে
জয়ার বাড়ি থেকে,
আরও আছে বাঘ নিয়েছে
তরুণী মেয়েকে।
করে স্মরণ ভয় বিবরণ
গা ছম ছম করে,
অদম্য মন তবু গমন
ভয় ভীতি না ডরে।
সাথী ছাড়া নিয়ে তাড়া
চলছি হেঁটে একা,
ভীতি ভুলে আবেগ খুলে
চাই কৃত্তন দেখা।
বাঘের ডরে নাইবা নড়ে,
তবু বাবার ডর,
একটু দেখে সেখান থেকে
ফিরেছি নিজ ঘর।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২২