ছবি-নেট।
আওয়ামলীগ নিষিদ্ধের বিষয় জনগণ সিধান্ত নিবে ও ন্যুনতম সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে এটা আমি ফকরুলীয় তত্ত্ব নামকরণ করেছি।
চূড়ান্ত লক্ষ্য জুলাই সনদ তৈরি করা
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটা সনদ তৈরি করা। সেটাই হবে জুলাই সনদ। সনদ তৈরির পর বাস্তবায়নের পথ বের হয়ে যাবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সংস্কারটা গভীরভাবে হতে হবে। আপনারা বলবেন আমাদের প্রস্তাবে আপনারা একমত; অথবা কোন প্রস্তাবের সংশোধনী চান বা কোন কোন প্রস্তাবে একমত হলেন না। যাতে করে একটা জুলাই সনদ তৈরি করা যায়। সবাই মিলে একমত হয়ে গেলে বাস্তবায়নের পথ বের হয়ে যাবে।’
জুলাই সনদ তৈরি করা ছাড়া মুক্তি নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংলাপের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে প্রস্তাবের পেছনে এতগুলো দল একমত। পরে সনদ যখন হয়ে যাবে, তখন সেটা প্রকাশ করা হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন রাজনৈতিক দল কতগুলো প্রস্তাবে একমত হয়েছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের কিছু অংশ।
উপরের অংশটুকু দেওয়ার অর্থ হলো আপনার মতামত আপনি স্পষ্ট করে দিবেন কোন ত্যানাপেচা নেই। সংস্কার কমিশন কোন সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেনি যে সেখানে গম্ভীর ভাষায়, শব্দের নান্দনিকশৈলী ব্যবহার করে আপনাকে লিখতে হবে, বলতে হবে।
এইবার ফকরুলীয় তত্ত্বের নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক, লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হচ্ছে- জনগন সিধান্ত নিবে!! আসলে কি জনগন সিধান্ত নিতে পারে? যদি পারতো তাহলে এ জাতি কখনো দূনীর্তিতে হ্যাট্টিক চ্যাম্পিয়ান হতো না, হাসিনা কখনো স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পারতো না কারণ জনগন থামিয়ে দিতো। হালুয়া রুটি খাদক দল ছাড়া সাধারণ সমর্থক যারা তারা কখনো অন্যায় সমর্থন করে না তা যে দলেরই হোক।
তাহলে জনগন কি পারে? জনগন পারে তাদের আদর্শের একটি দলকে সমর্থন দিতে আর সবকিছু সিধান্ত নেওয়ার অধিকার সেই দলের নেতাদের উপর অটোমেটিক বর্তায়। বিএনপির নেতাদের উপর একইভাবে দায়িত্ব পড়ে সিধান্ত নেওয়ার কিন্তু জনাব ফকরুল স্যার এখানে চালাকি করতে চাচ্ছেন তিনি ভুলে যাচ্চেন এটা নব্বই দশক নয়।
এবার ন্যুনতম সংস্কার নিয়ে কিছু বলা যাক, ন্যুনতম শব্দটি তিনি যেখানে ব্যবহার করছেন সেখানে তা ব্যবহারের প্রয়োজন? সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সবচেয়ে বড় ইস্যু অন্যগুলো নিয়ে সম্ববত সরকারও বেশি চিন্তা করছে না। আপনি যদি পিডিএফ পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন খুব অল্প কিছু প্রস্তাব সেখানে আছে, পড়তে ঘন্টাখানিক লাগার কথা!! তাহলে ন্যুনতম শব্দটি না বলে স্পষ্ট বললে তো হয় এই এই পয়েন্ট মানি আর এই এই পয়েন্ট বিএনপি মানবে না তাহলে ল্যাটা চুকে গেল।
শেষে একটি কথা বলি- প্রধান উপদেষ্টা বল সবসময় বিএনপির কোটে পাঠাবে বিএনপি যদি ঠিকমত না খেলতে পারে তাহলে দিনশেষে তাদের জন্য খারাপ আর যদি উত্তমরুপে বুঝে খেলে তাহলে তাদেরই লাভ। (প্রথম আলোর লেখার অংশটুকু পড়লে বুঝতে পারবেন)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৭