(ছবি-প্রথম আলোর কল্যাণে।
জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেরটেলসমান স্টিফটুং প্রতিবেদনের পর আমার এক আওয়ামলীগ বন্ধুকে বললাম গেলতো গনতন্ত্র। বন্ধুটি বলল- গনতন্ত্র দিয়ে হবে? দেশ এগিয়ে গেলেই হবে। আমি বললাম তোমার কথা যদি ঠিক ধরি তাহলে তোমাদের নেত্রীর কথাতো মিথ্যা তিনি সদ্য সমাপ্ত হওয়া সংসদে বলেছেন- সংসদ এখন বেশ কার্যকর, রওশন এরশাদকে ধন্যবাদ কার্যকরী বিরুধী দল হিসাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য। দেশে এখন সত্যিকারের গনতন্ত্র চলছে।
আমি বন্ধুটি কে বললাম- গনতন্ত্র ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব? সে উদাহরণ দেখাল-চীন। আমি বললাম- চীনতো কমিনিউস্টশাসিত একদলীয় শাসন। তাছাড়া তারাতো কখনও বলেনি যে তাঁরা গনতন্ত্রের লেবাসে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনে আওয়ামলীগ অনেক সমর্থক চীনের উদাহরণ দিচ্ছে ইনিয়ে-বিনিয়ে, আমার মাঝে-মধ্যে খুব জানতে ইচ্ছে করে আওয়ামলীগের সবার মেধা এক-অভিন্ন হয় কি করে!!!
এখন ব্লগের সিনিয়র আওয়ামলীগ সমর্থকদের দেখছি ভিন্ন সুর দিচ্ছে। ইনিয়ে-বিনিয়ে তারাও নব্য বাকশাল স্বীকৃত দিচ্ছে। আমার কথা হল বাকশাল বা একনায়কতন্ত্র যা বানাক আওয়ামলীগ তাঁরা কেন সংবিধান সংশোধন করে তা করছে না? তাদের তো মেজরিটি আছে সংসদে। নাকি গনতন্ত্রের লেবাসে একনায়কতন্ত্র বা নব্য বাকশাল বেশি মিষ্টি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫