এদেশে কি টাকা হলে সবই সম্ভব? আপন জুয়েলারির মালিকের ছেলে আর বসুন্ধারার মালিকের ছেলেদের দেখলে তাই মনে হয় । আপনার টাকা আছে, মানুষ খুন করুন, অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষন করুন তারপর টাকা দিয়ে সব অপরাধ ধামাচাপ দিয়ে দিন । ক্ষমতায় যে দলই থাকুক না কেন সেটা কোন ব্যাপার না টাকা আছে তো সরকার আপনার পকেটে আছে, চিন্তা কি ।
"সবাইকে টাকা দিয়ে কেনা যায়, শেখ হাসিনা কে নয়" মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই কথা আমরা শুধু বিশ্বাসই করিনা, অন্তরে ধারন করি ।কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আপনার তহবলি কার টাকা অনুদান নিচ্ছেন একটু ভেবে দেখবেন কি?
বিস্মৃত বাঙ্গালী জাতির দোষ মাস না পেরোতেই তারা সব ভুলে যায় । বসুন্ধরার মালিক আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকারের খুব ঘনিষ্ট জন হিসেবে পরিচিত ছিলেন । তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফর জামান বাবর আর হাওয়া ভবনের তারেক রহমানের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক ছিল শাহ আলমের তাইতো তারা টাকা আর ক্ষমতার জোড়ে মানুষ খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে নাই । একটা ঘটনা মনে করিয়ে দিতে চাই, নারী ঘটিত কেলংকারীতে শাহ আলমের আরেক পুত্র সাফায়েত সোবহান ওরফে সানবীর এতই বেপরোয়া ছিল যে মানুষ খুন করে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল ,বসুন্ধরা গ্র“পের টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির (৩০) ২০০৬ সালের ৪ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় খুন হন। বসুন্ধরা গ্র“পের চেয়ারম্যানের ছেলে সাফায়াত সোবহান সানবীর এ খুনের মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত প্রধান আসামি। এ নিয়ে তখন সংবাদপত্রে লেখালেখি হলে সানবীর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তাঁকে দেশত্যাগে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে লুৎফুজ্জামান বাবর গ্রেপ্তার হন। তখন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে বসুন্ধরার মালিকের ছেলেকে খুনের মামলা থেকে রক্ষা করতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, এরপর বাবর এই টাকার মধ্যে ২০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এ ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার অভিযোগে গত বছর ৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রমনা থানায় বাবর ও বসুন্ধরা গ্র“পের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ।
বঙ্গবন্ধু কন্য, দয়া করে এই সকল লোকদের টাকা নিয়ে নিজেকে বিতর্কিত করবেন না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮