ইনি বিধি ভঙ্গ করে পরগাছা হয়েও গাছে জন্মগ্রহণ না করে চারতলার ছাদের কার্ণিশে বাড়ি ওয়ালার বিনা অনুমতিতে জন্ম গ্রহণ করেছেন এবং বিনা ভাড়ায় সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। বাড়ি ওয়ালী আন্টি একবার মহাক্রোধে তাঁর মূল উৎপাটন করতে ব্যর্থ হন। তবে সেবার তাঁর গোড়াটুকু ব্যাতিত কিছুই অবশিষ্ঠ থাকেনি। তথাপি ইনি নিলজ্জের মত আবার পত্র-পল্লবে সজ্জিত হয়ে সতেজ জীবন যাপন করছেন। এদিকে তাঁকে সঙ্গ দানের জন্য এক লতিকার উপস্থিতি ঘটেছে। ইনাদের কারো গোড়ায় অনেক অনুসন্ধান করেও কোন মাটির উপস্থিতি সনাক্ত করণ সম্ভব হয়নি।
এদিকে লতিকার কান্ড দেখুন, বে-আইনি বসবাসের পর আবার পুস্প ফুটিয়ে ইনি বাড়িওয়ালার প্রতি বিদ্রুপ প্রকাশের ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন। তবে যদি তেনারা আবার কোন সাপকে তাদের সাথে বসবাসের সুযোগ প্রদান করেন, তবে তা’ কিছুতেই সহ্য করা যাবেনা।
ইনি কিন্তু পরগাছা নন। খান্দানী কাঁচা মরিচ গাছ। পরগাছা ও বুনু লতার দেখাদেখি ইনিও একই কান্ড ঘটিয়ে বসেছেন। একবার তাঁর সকল পত্র-পল্লব ছিঁড়ে দেওয়া হলেও ইনি মৃত্যু বরণ না করে আবার পত্র-পল্লবে সুসজ্জিত হয়েছেন। ওমা আবার ফুলও ফুটে আবার মরিচও ধরে। তবে মরিচে ঝাল নেই। কেন নেই কে জানে?
তিন পক্ষের যথেষ্ট বয়স। জানিনা ইনারা আর কতকাল এভাবে অবৈধ জীবন যাপন করবেন।
এখোনে দেখুন বালতিতে পুঁইশাকের চারার সাথে ইনারা কারা? আপনি তবে কাকে গুরুত্ব দিবেন?
ইনাদের যার যে পরিচয় হোক। আর ইনারা কারো কারো ক্রোধের প্রত্র পাত্র হলেও আমার মনে ইনাদের প্রতি যথেষ্ট স্নেহের উদ্রেক হয়েছে। কেন হয়েছে জানি না!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৪