টিউশন থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে চিন্তা করলাম অনেক দিন তো বইয়ের ধারে কাছে যাওয়া হয় না আজ বাসায় গিয়ে মনের আউশ মিটায়ে পড়ব। বাসার কাছে আসতেই এক বন্ধুর সাথে দেখা সে নাকি নির্বাচনের পর কালকেই আসছে বাড়ি থেকে । শুরু হলো গণতন্ত্র,পুঁজিবাদ,নাগরিক অধিকার ,ভোটাধিকার, আম্রিকা থেকে ভারতের গণতন্ত্র চর্চার কথা ।আমিতো কিভাবে তাকে বিদায় জানাবো সে পথ খুঁজতেছিলাম হঠাৎ তাকে প্রশ্ন করলাম আজকের পেপারে তো এ ব্যাপারটা নিয়ে আসিফ নজরুলের দারূণ কলাম লিখেছেন পেয়েছিস? (যদিও আমিও পেপার পড়িনাই)।সে সাথে সাথে বলে দেখিনােই তো ! আচ্চা তুই এ্খন যা পরে তোর সাথেে এটা নিয়ে বসব। তখন সময় ৯ টা । রুম এসে দেখি পাশের রুমের বড়ভাই বসে আছেন আমি আসব বলে।ওনার ক্লাসে কোন স্যার ওনাকে কি ব্যাপারে প্রসংশা করেছে তা সবিস্তারে বর্ণনা করলেন। এ আা্ড্ডা আরও জমে উঠল যখন পাশের রুমের সদস্যরা যোগ দিল ।এরপর হাতমুথ ধুয়ে এসে রান্না ঘরে এসে দেখি তরকারি আছে ভাত নেই । খাবারের বাকি আছে একজন তাও আমি আবার ম্যানাজার ও আমি।রুমমেটকে বলাতে সে বলল ভাই চাল এনে দেন রান্না করে দেব।বললাম একটা কল দিয়ে তো বলতে পারতি? সে বলে ভাই মনে করলাম স্টুডেন্টের বাসায় ভাত খাওয়াচ্ছে তাই আপনি দেরি করতাছেন।মাথা ঠান্ডা করে চাল এনে দিলাম তারে ।খিদায় মারা যাওয়ার মত অবস্থা এ সময় কি আর পড়াশুনা হয়।তখন সময় ১১:৩০।মহামান্য রাধুনী ভাত নিয়ে আসল যেন তাকে বলেছিলাম শিন্নি রাঁধতে।অগত্যা শিন্নি খেয়ে উঠলাম।এটা করতে করতে ১২টা বাজল।আজ এতকিছুর পরও পড়তে বসবো সিদ্ধান্তে অটল বই খুলে পাতা খুলতেছিলাম হঠাৎ লোডশেডিং।সব প্রতিকূলে, এমন অবস্থা যেন আজকে পড়লেই আমি বিসিএস ক্যাডার হয়ে যাব!!!!!!!!!!!!!!!!!
শেষকথা: পড়তে বলা সহজ পড়া সহজ নয়।