জীবন-কথাঃ ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ
১৯৫২-র মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের আন্যতম ছিলেন রফিক উদ্দিন আহমদ। ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদ পত্রিকায় শহীদ রফিকের ভগ্নিপতি জনাব মোবারক আলী খান বলেছিলেন, মৃত্যুর সময় রফিক‘র বয়স ছিল ১৯-২০ বছর। এ তথ্য সঠিক নয়। কারন ১৯৪৫ এর ৫ নভেম্বর-এ ইস্যুকৃত প্রবেশিকা পরীক্ষার সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স ১৯ বছর ১ মাস। মোবারক আলী খান পরে অবশ্য বলেছিলেন যে, ‘‘ রফিক ১৯২৬ সালে ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহন করেন।’’ রফিকের মা রাফিজা খাতুন (১৯০৫-১৯৮৮) রফিকের এই জন্ম তারিখ অনুমোদন করে ছিলেন। ফলে শহীদ হবার সময় রফিকের বয়স ছিল ২৬ বছর। শহীদ রফিকের জন্ম তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ মহকুমার সিংগাইর থানার বলধারা ইউনিয়নের পারিল বলধারা গ্রামে। পারিল বলধারা এখন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার একটি গ্রাম। তাঁর পিতার নাম আবদুল লতিফ ও মাতা রাফিজা খাতুন। রফিকরা ছিল পাঁচ ভাই ও দুই বোন। ভাইদের মধ্যে রফিক ছিল সবার বড়। চার ভাই, ১.আবদুর রশীদ (১৯৩১-১৯৮৭),২. আবদুল খালেক (১৯৩৪), ৩.বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম (১৯৪৩-১৯৭২), ৪.খোরশেদ আলম (১৯৪৭) এবং বোন ১.আলেয়া বেগম (১৯৩৮) ও ২.জাহানারা বেগম (১৯৪৫)।
রফিক ছিল পিতা-মাতার প্রথম সন্তান। শৈশবে গ্রামের স্কুলেই তিনি লেখাপড়া করেন। মরহুম আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী ও বীরেন্দ্রমোহন দত্তগুপ্ত শিক্ষকদ্বয়ের সুযোগ্য ছাত্র হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন।
রফিক বাল্যকালে কিছুটা ডানপিটে ছিলেন। তাই গাছ থেকে পড়ে তার হাত ভেঙ্গে চিকিৎসার জন্য কোলকাতা যান। কোলকাতা আবস্থানের সময়মিত্র ইনিস্টিটিউশনে শিক্ষা লাভ করেন। দেশ বিভাগের কয়েক বছর পর তিনি পুনরায় দেশে ফিরে আসেন ও বায়রা স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। শহীদ রফিক সাহিত্যাঙ্গনে ছড়া রচনায় পটু ছিলেন এবং সেলাই ও সূচী শিল্পেও বেশ দক্ষ ছিলেন। সমাজকল্যানেও তিনি গভীর আগ্রহী ছিলেন। কোলকাতা থাকাকালীন পারিল বলধারা যুবক সমিতি’র কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।
২১ ফেব্রুয়ারী বেলা ২ টার সময় জানা গেল ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ গুলি চালাচ্ছিল এবং তিন জন মারা যান। বেলা তিনটায় ফুলবাড়িয়া রেলগেইট এবং নওয়াবপুরেও গোলাগুলি চলছিল।
রেলগেইটে ছোট একজন শিশু মারা গেছেন, এইভাবে চারদিক থেকে গোলাগুলির সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল। সারা শহর জুড়ে ছিল আতঙ্ক। মোবারক আলী খান ঐ দিন সন্ধ্যা সাতটার সময় তার ঘরের কর্মচারীর মাধ্যমে জানলেন, রফিকের মাথায় গুলি লেগেছে ও তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন। এ সময় ঐ এলাকায় ১৪৪ ধারা ও কারফিউ বলবৎ ছিল। কোন কোন সূত্রে জানা গেল রাত্রেই মিলিটারীর লোকেরা এ লাশ এখান থেকে সরিয়ে ফেলবে। কারন, ছাত্ররা উক্ত লাশ নিয়ে যাবার জন্য বিশ্ব বিদ্যালয়ে জটলা পাকাচ্ছে এবং তুমুল হট্টগোল করছে। ভোর হলেই মেডিকেল হাসপাতালে প্রবেশ করে বলপূর্বক তারা উক্ত লাশগুলি নিয়ে মিছিল বের করবে। তাই ছাত্রদের এখানে আসার পূর্বেই মিলিটারীরা লাস এখান থেকে সরিয়ে ফেলবে। দৈনিক মিল্লাতের প্রথম পাতায় রফিকের মাথার খুলি উরে যাওয়ার ছবিও ছাপা হয়েছিল।শহীদ রফিকের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণআন্দোলনে নিজেদের গভীরভাবে যুক্ত করেছেন এবং নিজেদের জীবনকে কখনোই দেশের স্বার্থের চেয়ে বড় মনে করেননি। তাইতো ১৬৬৯ এর গণআন্দোলনেও জীবন দিয়েছেন এই পরিবারের সদস্য জনাব ইসহাক। রফিকের ভাই আবদুস সালাম ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দুর্ভাগ্যের বিষয় তিনি গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন। মহান ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদকে বাংলাদেশ সরকার মরনোত্তর একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করেন।


আমি যদি বিয়ে না করি, তাহলে সন্তান হবে না। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বৃদ্ধ অবস্থায় কি হবে? তখন আমাকে সেবা করবে কে?
একাকীত্ব, অসুস্থতা ও রোবটের প্রয়োজনীয়তা
শেখ হাসিনা হিন্দু প্রমাণসহ
গতকাল নিউজ বের হয়েছে যে, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈর শাসক শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই, শেখ জুয়েল এখন বিধান মল্লিক মানে হিন্দু কিন্তু বাস্তবতা হলো বিভিন্ন সূত্র থেকে এটা জানা যায় যে,... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভাট ফুল
বৃষ্টির ফোটার মতন ঝরে পড়ে পাতা
ফাল্গুনের তাপদ্রাহে ।
আমি তার আগে। সামনে সমতল
প্লাস্টিক, ছেঁড়া কাগজ, পাতা পোড়া ছাই -
একাকিত্বের বিলাসিতায় মগ্ন হয়ে যাই ।
কল্পনায় আমি এক... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন
তথ্য বাবার আপডেটেড তথ্য....
তথ্য বাবার আপডেটেড তথ্য....
প্রত্যাপশালী কুখ্যাত লেডি হিটলার শেখ হাসিনার ছেলে জয়। জাতির সাড়ে হাজার ভাগ্নের একাল- সেকাল। আজ নিঃসঙ্গ! কেউ নেই পাশে। জুতার গ্লু টানা টোকাইদের মতো অবস্থা।
তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন